শিরোনাম
স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে চলছে যানবাহন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরিঘাটে অপেক্ষার ভোগান্তি লাঘব করেছে এই সেতু। সেজন্য দেশবাসী, বিশেষ করে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করে আসা মানুষের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। তারই রেশ দেখা গেলো সেতু চালুর প্রথমদিন। সরকারের বিধিনিষেধ থাকার পরও এই সেতু দেখতে রোববার (২৬ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে ভিড় করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। স্রোত নেমেছে বাইকারদের।
এই উচ্ছ্বাসের ভিড়ে ঘটেছে একাধিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও। দুজন টিকটকার সেতুর মেটাল ব্যারিয়ারের নাট-বল্টু খুলে নেওয়ার ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। সেতুতে একজনের মূত্রত্যাগের ছবিও ছড়িয়েছে। এসব নিয়ে দিনভর আলোচনা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অবশ্য নাট-বল্টু খুলে নেওয়া এক টিকটকার ধরাও পড়েছেন।
এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে, যেন ভাবতেও পারছেন না পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কয়েকটি ঘটনা খুবই বিব্রতকর, যা ঘটবে বলে কখনো কল্পনাও করিনি।
রোববার (২৬ জুন) রাতে শফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুর এক টোলপ্লাজা থেকে অন্য টোলপ্লাজার দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। আমাদের টহলরত লোকজনও হাঁপিয়ে উঠছে। মানুষ লোহার বেড়া ও মাটির নিচ দিয়ে সিঁধ কাটার মতো করে অবৈধভাবে সেতুর ওপরে উঠে হাঁটছে। অথচ সেতুর ওপরে হাঁটাচলা করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
পদ্মা সেতুর মেটাল ব্যারিয়ারের নাট-বল্টু খুলে নিয়ে টিকটকে ভিডিও আপলোড করায় বায়েজিদ নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সে প্রসঙ্গ টেনে সেতুর নাট-বল্টু খোলা সম্ভব কি না জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, সেতুর ওপরের অংশে মেটাল ব্যারিয়ারের সব নাট টাইট দেওয়া হয়নি। এটা কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ নয়। এটা দিতে হয় তাই দেওয়া। নাটগুলো টাইট দেওয়াসহ কিছু টুকিটাকি কাজ বাকি। কয়েক জায়গায় রং করা বাকি আছে। আরও কিছু কংক্রিটের কাজ বাকি। কিন্তু যাত্রীরা নাট খুলতে যাবে আমরা কল্পনাও করিনি।
সেতুতে কিছু মানুষের আচরণ বিব্রতকর উল্লেখ করে শফিকুল ইসলাম বলেন, আর কয়টা দিক ঠেকানো যায়? ঢাকা ও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোটরসাইকেল, বাসসহ অনেক যানবাহন কেবল পদ্মা সেতুতে খ্যাপে যাত্রী-টিকটকার নিয়ে আসছে। এদের এনেই সেতুর মাঝখানে ছেড়ে দিচ্ছে। এর বিনিময়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছে। মানুষ এমনটা করবে ভাবতেও পারিনি।
সূত্র: জাগো নিউজ