দারিদ্রের দুষ্ট চক্র থেকে মুক্ত বাংলাদেশ : জয়

ফানাম নিউজ
  ২৫ জুন ২০২২, ০৮:১৮

সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কীভাবে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসছে, তার বিবরণ এক নিবন্ধে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

গত সোমবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, গৃহহীন ও বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য সরকারের তরফ থেকে যে ঘর দেওয়া হচ্ছে, তাতে সুফল মিলতে শুরু করেছে।

তিনি লিখেছেন, এর মধ্যে একটি বড় অর্জন হচ্ছে- পুরুষশাসিত যে প্রথা ছিল তা ভেঙে ফেলা। সম্পত্তিতে নারীদেরও এখন পুরুষের সমান অধিকার। ভূমিসহ আশ্রয়ণের সবকিছুতে স্বামী-স্ত্রী যৌথভাবে মালিকানা পাচ্ছেন। ফলে নারীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি আরও লিখেছেন, যদিও এখনো অনেক কাজ বাকি, এরপরও দেশের নারীরা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ভোগ করছেন এখন। নারীর মর্যাদা বৃদ্ধির প্রশ্নে সরকারের অঙ্গীকারের কারণে অর্থনৈতিক ও সামাজিক- উভয়ক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন।
    
নিবন্ধে বলা হয়, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৭.৫ শতাংশ, তা ২০২০ সালে ২০.৫ শতাংশে নেমে আসে। আর অতি দরিদ্রের হার ২০০৯ সালের ১৯.৩ শতাংশ থেকে ২০২০ সালে ১০.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘অসাধারণ অগ্রগতির’ প্রশংসা করে সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংক ‘দারিদ্র্য বিমোচনের মডেল’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এ দেশকে।

তিনি আরও লিখেছেন, ২০০৯ সালে যেখানে জিডিপি (মাথাপিছু) ছিল ৭১০ ডলার, ২০২০ সালে তা বেড়ে ২০৬৪ ডলার হয়। জিডিপির টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বলে সম্প্রতি এইচএসবিসি ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে।

জয় লিখেছেন, এক দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়ে ২০২১ সালে ২২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও বেশি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ রের্ক্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। পশ্চিমারা ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে বাংলাদেশকে যেভাবে বর্ণনা করত, তার বিপরীতে এটি অসাধারণ অগ্রগতি।

তিনি লিখেছেন, বাস্তব ফলাফল কখনও বিমূর্ত হয় না। আলেয়া বেগমের কথাই ধরুন। ৩০ বছর ধরে আলেয়া এবং তার পরিবার একটি নালার ধারেআবর্জনার স্তূপের পাশে বসবাস করেছেন। তার গায়ের ছেঁড়া কাপড় তার দারিদ্র্যেরই সাক্ষ্য দিত। একদিন তাদের কাঠের ঘরটা ভেঙে খালে তলিয়ে গেলে আলেয়ার আট ছেলে এবং এক মেয়ে মারা যায়। ওই ঘটনার পরপরই আলেয়ার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যান। একা, নিঃস্ব এবং আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন সেই নারী।

জয় লিখেছেন, এই গল্পের মত অসংখ্য ঘটনা বাংলাদেশে ঘটছে। অন্য অনেক দেশেও এই পরিবর্তন আনার সুযোগ রয়েছে।