শিরোনাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহিদ উদ্দিন মোহাম্মদ তারেকের বাসার নিচতলার ঘর থেকে রুবিয়া খাতুন (১৩) নামে এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানা মোড়সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
রুবিয়া শহিদ উদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম।
রুবিয়া খাতুন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের মো. নবী আলীর মেয়ে। রুবিয়া ঈদুল ফিতরের প্রায় এক সপ্তাহ পর শহিদ উদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ শুরু করে।
পুলিশ, বাড়ির মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের পর থেকে রুবিয়া মোহাম্মদ তারেকের বাসায় থেকে কাজ করছিল। রোববার বিকাল থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বাসার লোকজন নিচতলার কক্ষটি বন্ধ দেখতে পায়। ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খোলায় তাদের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ গিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে দরজা ভেঙে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
ওই বাড়ির মালিক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহিদ উদ্দিন মোহাম্মদ তারেক বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে খবর পাই রুবিয়া নিখোঁজ। পরে নিচতলার রুম বন্ধ পাওয়া যায়। ডাকাডাকি করে সাড়া না মিললে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা দোতলায় থাকতাম। মেয়েটি রোজার ঈদের এক সপ্তাহ পরে আমার বাসায় বুয়ার কাজ শুরু করে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম বলেন, ঘরের দরজা ভেঙে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
সূত্র: যুগান্তর