শিরোনাম
রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার সন্দেহভাজন সমন্বয়কারী সুমন শিকদার মুসা এই ঘটনার নেপথ্যের নায়কদের নাম বলতে শুরু করেছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রিমান্ডে থাকা মুসা ইতোমধ্যে মতিঝিলের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণকারী ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কয়েকজনের নাম বলেছে। তার দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মুসার দেওয়া নামের তালিকায় যারা আছেন, হত্যাকাণ্ডের আগে-পরে তাদের ভূমিকা নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
ফলে এই মুহূর্তেই মুসার দেওয়া নামগুলো প্রকাশ্যে আনতে চায় না মামলার তদন্তকারী সংস্থা। তবে ওমান থেকে ফেরানোর পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এবং রিমান্ডের প্রথম দিন (শনিবার) তার থেকে বেশকিছু নতুন তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় ডিবি। যা এই মামলার অনেক রহস্য উন্মোচনে সহায়ক হবে বলে আশা তাদের।
ডিবি সূত্র জানায়, মূলত এ পর্যন্ত ওই ঘটনায় তিনটি চরিত্রকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। এদের মধ্যে শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ এবং সুমন শিকদার মুসাকে তারা গ্রেপ্তার করতে পেরেছেন। আরেকজন শুটার আকাশকে মোটরসাইকেলে বহনকারী মোল্লা শামীম এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। গ্রেফতার দুজনের তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। তাদের দেওয়া তথ্য নিয়ে প্রযুক্তির সহায়তায় খোঁজ চলছে শামীমের। তার বিষয়ে মুসাকেও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শামীমের সঙ্গে টিপু হত্যার আগে ও পরে যোগাযোগ হয়েছে বলে রিমান্ডে জানিয়েছে মুসা। এর পাশাপাশি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রের বিষয়েও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল সম্পর্কেও। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য সে জানে না, শামীম জানে এমনটি উল্লেখ করে মুসা। এছাড়া এ ঘটনায় গ্রেফতার অন্য ১২ আসামির প্রত্যেককে মুসার মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদেরও চিন্তা করছে ডিবি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টিপু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে মুসা। এছাড়া আরও অনেকের নাম বলছে। আমরা সব যাচাই-বাছাই করছি।
২৪ মার্চ রাতে টিপু হত্যার ১২ দিন আগে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দুবাই পালায় মুসা। সেখানে সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বিদেশ থেকেও মতিঝিলের ফুটপাতসহ বিভিন্ন স্থানের নিয়ন্ত্রণকারীদের ফোন করে টাকার ভাগ চায়। বিভিন্নজনকে হুমকি দিতে থাকে।
এরপর গত মাসের শুরুর দিকে দুবাই থেকে ওমান যায় সে। ১০ মে এনসিবি ঢাকা মুসাকে গ্রেফতারের জন্য অনুরোধ জানায় এনসিবি মাস্কাটকে। ১৭ মে এনসিবি মাস্কাট তাকে গ্রেফতারের খবর ঢাকাকে জানায়। এরপর তিন সদস্যের একটি এসকর্ট টিম গঠন করেন আইজিপি। তারা ওমানে গিয়ে বৃহস্পতিবার মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনে। শুক্রবার মুসাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সূত্র: যুগান্তর