শিরোনাম
‘২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেই’ বলে মনে করে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটির মতে, এই বাজেটে চাল, ডালসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দরকার ছিল। তা করা হয়নি। সিপিডির পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে কর কমানোর সুপারিশ করা হয়েছিল। সেটিও রাখা হয়নি।
শুক্রবার (১০ জুন) ‘জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ এবং সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
সিপিডি বলছে, যারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে, দুর্নীতি করে অন্যায়ভাবে অর্থ নিয়ে গেছে, তাদের আবার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এটা চরম অনৈতিক। আমরা বলছি, এ থেকে আসলে কোনো অর্থ আসবে না। এই ধরনের উদ্যোগ নৈতিকতা পরিপন্থি। যারা সৎ করদাতা তাদের নিরুৎসাহিত করা, নৈতিকভাবে তাদের নীতিভ্রষ্ট করার একটা প্রচেষ্টা। অন্যদিকে, যারা অবৈধ উপায়ে অর্থ-সম্পদ বাইরে নিয়ে যায়, তাদের কিন্তু প্রকারান্তরে উৎসাহিত করা হয়েছে।
ড. ফাহমিদা বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি রয়েছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ অবস্থায় প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। আগামী এক বছরে মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমবে? কারণ, পৃথিবীর অনেক দেশ অর্থনৈতিক মন্দায় চলে যাবে। তাহলে কীভাবে মূল্যস্ফীতি কমবে, এটাই বড় প্রশ্ন।
তিনি বলেন, বর্তমানে জনজীবনের ওপর চাপ রয়েছে। বাজেটে প্রত্যাশা ছিল নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষকে স্বস্তি দেওয়া হবে, কিন্তু দেওয়া হয়নি। উল্টো বিত্তবানদের কর কমানো হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট যে লক্ষ্য নিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে তা পূরণে নেওয়া পদক্ষেপগুলো পরিপূর্ণ নয়। নীতিকৌশলের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ অসম্পূর্ণ এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তা অপর্যাপ্ত।
সিপিডি বলছে, মূল্যস্ফীতি ও বৈশ্বিক অর্থনীতির নানা চাপ রয়েছে। চাপ মোকাবিলায় ৬টি লক্ষ্যের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। যার মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বর্ধিত ভর্তুকির জন্য অর্থায়নের সংস্থান, বৈদেশিক অর্থের ব্যবহার নিশ্চিত করা, টাকার বিনিময় মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং রিজার্ভ সন্তোষজনক রাখা।
সূত্র: আরটিভি