শাহজালালে ১৮ সেকেন্ডে যেভাবে করা যাবে ইমিগ্রেশন

ফানাম নিউজ
  ০৯ জুন ২০২২, ০৭:৪৭

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-গেট (স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা) চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে ই-পাসপোর্টধারীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া মাত্র ১৮ সেকেন্ডে শেষ হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম দেশ হিসেবে ই-গেট চালু করলো। ই-পাসপোর্টধারী যে কেউ ই-গেট ব্যবহার করে নিজের ইমিগ্রেশন নিজেই করতে পারবেন।

জানা গেছে, বিমানবন্দরের ডিপারচার (বহির্গমন) এলাকায় মোট ১২টি এবং অ্যারাইভাল (আগমনী) এলাকায় ৩টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্টধারী ব্যক্তি প্রথমে তার ই-পাসপোর্টের ছবি সম্বলিত স্মার্ট কার্ডের পৃষ্ঠা স্ক্যান করবেন। সেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে তার সব তথ্য যাচাই করা হবে। তথ্য সঠিক পেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-গেট খুলে যাবে। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে তার মুখমণ্ডল (ফেস) স্ক্যান করা হবে। যদি মিলে যায় তাহলে দ্বিতীয় গেট খুলে যাবে। এভাবেই একজন ব্যক্তির ইমিগ্রেশন শেষ হবে।

কোনো কারণে ই-পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে ওই ব্যক্তির বর্তমান মুখমণ্ডলের (ফেস) চেহারা না মিললে ই-গেট ব্যবহার করা যাবে না।

তবে ই-গেট ব্যবহারের আগে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাত্রীর ভিসা, টিকিট, লাগেজ এবং পাসপোর্ট চেকিং সম্পন্ন করতে হবে। যাত্রীর ফ্লাইটের তথ্য, শেষ গন্তব্যস্থান, যাত্রা শুরুর স্থান, ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও ভিসার তথ্য অবশ্যই ইমিগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ডাটাবেজে সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে ই-গেট সিস্টেমে সংরক্ষিত তথ্য যাচাই করতে হবে।

পরীক্ষামূলকভাবে কিছু যাত্রীকে ই-গেটের মাধ্যমে সফলভাবে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হয়েছে জানিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের জন্য পুরোপুরি ই-গেট চালু করা হয়েছে। মাত্র ১৮ সেকেন্ডে ই-পাসপোর্টধারী যাত্রী ভেরিফিকেশন শেষে ই-গেট অতিক্রম করতে পারছেন।

বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানায়, ই-পাসপোর্ট নিয়ে যখন একজন ব্যক্তি ই-গেটের কাছে যাবেন, তখন একটি নির্দিষ্ট স্থানে ই-পাসপোর্টটি রাখলে সঙ্গে সঙ্গে গেট খুলে যাবে। তখন নির্দিষ্ট নিয়মে গেটের নিচে দাঁড়ানোর পর ক্যামেরা ওই ব্যক্তির ছবি তুলে নেবে। এরপর সব ঠিকঠাক থাকলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইমিগ্রেশন পার হয়ে যেতে পারবেন যাত্রী। তবে যদি কোনো যাত্রী ভুল করেন, তাহলে লাল বাতি জ্বলে উঠবে। তখন সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সঠিকভাবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারে ওই যাত্রীকে সহযোগিতা করবেন।