শিরোনাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) রোড ম্যাপ বাস্তবায়ন করলে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন আর্থিক সংস্থার (ডিএফসি) তহবিল দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে। ২ জুন ওয়াশিংটনে আয়োজিত বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক সংলাপে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে শুক্রবার (৩ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র ডিজিটাল বাণিজ্যে বাংলাদেশের আঞ্চলিক নেতা হওয়ার সুস্পষ্ট সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছে। পাশাপাশি ডিজিটাল অর্থনীতি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষিত করার জন্য একটি স্বচ্ছ নিয়ন্ত্রক পরিবেশ গ্রহণে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে।
সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি এবং পরিবেশবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ডাব্লিউ ফার্নান্দেজ।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংলাপে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাত, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বাংলাদেশে মার্কিন সংস্থাগুলোর বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা। এছাড়া, ইউএস-বাংলাদেশ নারী কাউন্সিলের একটি মার্কিন ধারণাকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশে, যা ভবিষ্যতে নারীদের কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষার সুযোগ বাড়াবে। উভয় পক্ষই বাংলাদেশে বিদ্যমান স্বচ্ছ বাণিজ্যিক নীতি বাস্তবায়ন এবং মেধা সম্পত্তি অধিকারের ধারাবাহিক প্রয়োগের বিষয়ে আরও সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকারের ক্ষেত্রে সরকারের অগ্রগতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার মানদণ্ড মেনে চলার জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) রোড ম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং আইএলও রোড ম্যাপের চারটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। যার মধ্যে শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতা, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলসহ (ইপিজেড) ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যান্য খাতে যৌথ দর কষাকষির উন্নতি করা।
যুক্তরাষ্ট্র কোভিড-১৯ অগ্রাধিকারভিত্তিক বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনায় বাংলাদেশের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছে, যেন বাংলাদেশ তার জনসংখ্যা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের কার্যকর টিকাদানের বিষয়ে বিশ্বের সঙ্গে সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগাভাগি করতে পারে।
সূত্র: আরটিভি