শিরোনাম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, রাশিয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির যে প্রস্তাব দিয়েছে- সেই তেল বাংলাদেশের রিফাইনারিতে পরিশোধনযোগ্য নয়।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ ভবনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর জ্বালানি প্রতিবেদকদের সংগঠন এফইআরবির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে তেল কেনার অফার পাচ্ছি। কিন্তু সেই তেলটা আমাদের উপযোগী কি না- সেটা চিন্তা করতে হবে।’
রাশিয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে বলে গত ২৩ মে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন নসরুল হামিদ।
আজ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারটেইন দেশ থেকে ক্রুডের যে অফার পেয়েছি, আমরা দেখেছি সেইটা আমাদের রিফাইনারির জন্য ম্যাচ করে না। আমরা অ্যারাবিয়ান মারবান ব্যবহার করি। এটা আলাদা স্পেসিফিকেশনের।
বাংলাদেশ মূলত অপরিশোধিত তেল কেনে সৌদি আরবের সৌদি অ্যারামকো এবং আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি থেকে। আর পরিশোধিত তেল সরবরাহ করে কুয়েত, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতের আটটি কোম্পানি। এর মধ্যে চীনের কোম্পানি দুটি।
বাজেটে কত ভর্তুকি চাওয়া হয়েছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না। বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) যদি মূল্যটা ঠিক হয়, তাহলে সেই মূল্যের ওপর আমরা হিসাব করব যে সরকার কত টাকা ভর্তুকি দেবে।আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, বিদ্যুৎ বা জ্বালানির ক্ষেত্রে (দামে) এমন কোনো পরিবর্তন হবে না… আমরা চাচ্ছি সবার কাছে যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। বৈশ্বিক পরিস্থিতি যাই হোক, জনগণকে স্বস্তিতে রাখাই আমাদের লক্ষ্যে।’
বিদ্যুৎ খাতের জন্য নতুন যে মহাপরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেখানে দেশে নতুন জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহারের বিষয়টি থাকছে বলেও অনুষ্ঠানে জানান প্রতিমন্ত্রী নসরুল।