খুলনা-কলকাতা রুটে ফের ট্রেন চালু হচ্ছে রোববার

ফানাম নিউজ
  ২৯ মে ২০২২, ০৮:৫৮

কলকাতা-খুলনা রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ আবার চালু হচ্ছে। দীর্ঘ ২৬ মাস পর রোববার থেকে সপ্তাহে দুই দিন ট্রেনটি চলাচল শুরু করবে। ট্রেনটি রোববার সকালে কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করে দুপুরে খুলনায় পৌঁছাবে। দুপুরে আবার ট্রেনটি কলকাতার উদ্দেশে খুলনা ছেড়ে যাবে।

করোনাসহ নানা জটিলতায় দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ফের চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’। আগের মতোই সপ্তাহে দুইদিন চলাচল করবে ট্রেনটি।

রোববার (২৯ মে) সকালে কলকাতা থেকে ছেড়ে ট্রেনটি দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা স্টেশনে পৌঁছাবে। একঘণ্টা বিরতির পর দুপুর দেড়টায় খুলনা থেকে আবার কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। ট্রেনটি ৪৫৬ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে।

খুলনা রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর কলকাতা-খুলনার মধ্যে ৪৫৬ আসনের আন্তর্জাতিক এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল শুরু করে। ট্রেনটির নামকরণ করা হয় ‌‘বন্ধন’।

ট্রেনটির ১০ টি বগির মধ্যে রয়েছে দুটি পাওয়ার কার, চারটি কেবিন বগি ও চারটি চেয়ার বগি। ভারত থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার ও রোববার ট্রেনটি আসতো। আবার সেই দিনই খুলনা-যশোর-বেনাপোল হয়ে ভারতে ফিরে যেত। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর করোনার সংক্রমণ কমায় দেশের ভেতরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও আন্তঃদেশীয় এ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ট্রেনের ৪৫৬ আসনের মধ্যে ৩১২টি এসি চেয়ার ও ১৪৪টি প্রথম শ্রেণির আসন রয়েছে। কলকাতা-খুলনার মধ্যে দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশে ৯৫ কিলোমিটার ও ভারতে পড়েছে ৭৭ কিলোমিটার।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ ট্রেনে চেয়ার কোচ ভাড়া ১ হাজার ও কেবিনের সিট ভাড়া ১ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া ভ্রমণ কর রয়েছে আরও ৫০০ টাকার। বেনাপোল স্থলবন্দরে যাত্রীর পাসপোর্ট, ভিসাসহ ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।

খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, আগের নিয়মেই ট্রেনটি আবার চালু হচ্ছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা আসবে এবং এক ঘণ্টা বিরতি শেষে দুপুর দেড়টার সময় ছেড়ে যাবে। সন্ধ্যা ৭টা ১০মিনিটে ট্রেনটি কলকাতায় পৌঁছাবে। এখন থেকে রোববার ও বৃহস্পতিবার দুইদিনই ট্রেনটি চলাচল করবে। তবে ডলারের দাম বাড়ায় প্রতি যাত্রীকে এসি চেয়ারের জন্য ৩৫ টাকা ও এসি কেবিন সিটের জন্য অতিরিক্ত ৫৫ টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ ভ্রমণ করসহ যাত্রীদের ১ হাজার ৫৫০ টাকা ও ২ হাজার ৫৫ টাকা দিতে হবে।

তিনি বলেন, কাউন্টার থেকে এ রুটে চলাচলকারী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে। অনলাইনে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না। শুধু ভারতীয় দূতাবাস থেকে ভিসা গ্রহণকারীরা পাসপোর্ট দেখিয়ে এ টিকিট কিনতে পারবেন।