শিরোনাম
রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে কসমেটিকস—কত ব্যবসার সঙ্গেই না যুক্ত সাকিব আল হাসান। সম্প্রতি স্বর্ণের ব্যবসায় নেমেছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
‘কিউরিয়াস’ সুইস মেড গোল্ডবারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তিনি। গত ২২ এপ্রিল বনানীতে শোরুম উদ্বোধনও করেন।
কিন্তু ঠিক এক মাস পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানাল, অনুমতি না নিয়েই স্বর্ণ ব্যবসায় নেমেছেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের প্রতিষ্ঠান কমোডিটি এক্সচেঞ্জের নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন নেয়নি বিএসইসি থেকে।
সে জন্য সাকিবের দুই প্রতিষ্ঠান ‘রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি’ এবং ‘বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি’-এর কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি।
যদিও ব্যবসায় নামার আগেই নিজেকে বৈধ দাবি করেছিলেন সাকিব।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে— ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ধারা ৮ (৪) অনুযায়ী, সদস্যভুক্ত কোনো ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোনো সিকিউরিটিজের জন্য ব্রোকার বা ডিলার হিসেবে কাজ করবে না।
অন্যদিকে ২০২১ সালে এক বিজ্ঞাপন দিয়ে সাকিব জানান, তিনি বৈধভাবে স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার আমদানি এবং বিক্রির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলার বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
ওই বিজ্ঞাপনে সাকিব বলেন, ‘ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অথবা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আমার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে দেশে বৈধভাবে, সঠিকভাবে ওজনের খাঁটি স্বর্ণ আমদানি করতে পারেন অথবা আমদানি করা স্বর্ণ কিনতে পারেন।’
স্বর্ণের ব্যবসাকে হালাল উল্লেখ করে সাকিব বলেন, ‘স্বর্ণ আমদানি হালাল। স্বর্ণে বিনিয়োগও হালাল। দেশের ব্যাংকিং বিনিয়োগে সুদের হার ক্রমশ নিম্নগামী, তাই হালাল ও নিরাপদ বিকল্প হিসেবে স্বর্ণে বিনিয়োগ করে নিশ্চিন্তে থাকুন।’
সূত্র: যুগান্তর