শিরোনাম
আজ ২১ মে আন্তর্জাতিক চা দিবস। চা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত পানীয়। কিছু মানুষের কাছে চা তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২০ সাল থেকে ২১ মে কে আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেয়া হয়।
বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা দারিদ্র্য ও অপুষ্টিতে চায়ের অমূল্য যোগদানের প্রতি সচেতনতা বাড়াতে এবং এর গুরুত্ব সকলের সামনে পৌঁছে দিতে দিবসটি পালিত হয়।
বিশ্বের চা উৎপাদনকারী দেশগুলো প্রথম দিকে ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ব চা দিবস পালন করা শুরু করে। জাতিংসঘ ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসেবে ২১ মে তারিখটি ধার্য করে। পরের বছর ২০২০ সাল থেকেই জাতি সংঘেরর তত্ত্বাবধানে বিশ্বজুড়ে ২১ মে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালিত হতে থাকে। সেই লক্ষ্যে এই বছরে এই উদযাপনের দ্বিতীয় যাত্রা পূর্ণ হল।
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে সকাল শুরু করতে না পারলে অনেকেরই দিনটাই মাটি হয়ে যায়। আবার নাস্তার পর কিংবা কাজের ফাঁকে নিজেকে চাঙ্গা রাখতে এক কাপ চায়ের জুড়ি মেলা ভার। সেই সঙ্গে অনেকেই সন্ধ্যায় বন্ধুদের আড্ডায় চায়ের কাপে ঝড় তোলেন ক্যাম্পাসের মামার টং দোকানে।
চা মৌসুমী অঞ্চলের পার্বত্য ও উচ্চভূমির ফসল। একপ্রকার চিরহরিৎ বৃক্ষের পাতা শুকিয়ে চা প্রস্তুত করা হয়। চীন দেশই চায়ের আদি জন্মভূমি। বর্তমানে এটি বিশ্বের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য পানীয়রূপে গণ্য করা হয়।
১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে চীনে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়। আর ভারতবর্ষে এর চাষ শুরু হয় ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে। ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশরা সিলেটে সর্বপ্রথম চায়ের গাছ খুঁজে পায়। এরপর ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় শুরু হয় বাণিজ্যিক চা-চাষ।
সূত্র: দেশ রূপান্তর