শিরোনাম
পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের ভারতে শাস্তি হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।
সোমবার (১৬ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ড. মোমেন আরও বলেন, পি কে হালদারের বিষয়ে ভারত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। স্বরাষ্ট্র কিংবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যেকোনো মন্ত্রণালয়কে জানাতে পারে দেশটি।
মোমেন বলেন, ভারত সরকার হয়তো তাকে (পি কে হালদার) শাস্তি দেবে। সে শাস্তির মেয়াদ হয়তো বাংলাদেশে এসে শেষ করতে হবে। আমাদের সে রকম প্রসিডিউর আছে। এসব ক্ষেত্রে উভয় দেশের নীতি অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।
পি কে হালদারকে দেশে আনার বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার ধারণা ভারতের সঙ্গে যে সোনালী অধ্যায়-সম্পর্ক, তাতে অবশ্যই আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যা করতে চাই তারা আমাদের কথা শুনবে এবং সেই অনুয়ায়ী আমরা কাজ করব।
পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যা যা করার তা আমরা করব।
প্রসঙ্গত, পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে শিবশঙ্কর হালদার পরিচয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব নেন তিনি। এ ছাড়া ভারতে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। অবশেষে শনিবার (১৪ মে) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অ্যানফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন পি কে হালদার। দুদক তার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় এক ডজনেরও বেশি ব্যক্তি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
সূত্র: আরটিভি