যে ৩ শর্তে জামিন পেলেন সম্রাট

ফানাম নিউজ
  ১১ মে ২০২২, ১৩:৪০

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন শর্তে জামিন পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। নতুন করে আর কোনো মামলা না থাকায় এ জামিন মঞ্জুরের ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার (১১ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তিন শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

শর্তসমূহ হলো- আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করা যাবে না, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আদালতের ধার্য করা আগামী তারিখে জমা দিতে হবে।

এদিন মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। একইসঙ্গে তার জামিন আবেদনও করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন।

আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিন শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আজ দুদকের মামলায় সম্রাটের অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের আইনজীবী বিদেশে থাকায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। এছাড়া সম্রাটের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত মানবিক কারণে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলার মধ্যে এরইমধ্যে তিন মামলার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া ছয় মাসের সাজা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় আজ জামিন পেয়েছেন সম্রাট। আর কোন মামলা না থাকায় তার মুক্তিতে বাধা নেই।

এদিকে একইদিন সোমবার (১১ এপ্রিল) রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার।

গতকাল রোববার (১০ এপ্রিল) অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।

পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওইদিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়।

সূত্র: জাগো নিউজ