শিরোনাম
দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার তৃতীয় (বুস্টার) ডোজ পেয়েছেন ১ কোটি ২৯ লাখ ২১ হাজার ৭৫ জন।
প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১২ কোটি ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮৭ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১১ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার ৬৫৯ জন মানুষ।
রোববার (৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (৭ মে) সারা দেশে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৯৯৩ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩৯ হাজার ৮২৮ জনকে। এছাড়া এ সময়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫৩ হাজার ৯০৮ জনকে। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
গত ১ নভেম্বর বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার ৮৯২ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার ২৬৫ জনকে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত ২১ লাখ ৭ হাজার ৭৬ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার তৃতীয় (বুস্টার) ডোজের প্রতি জোর দিয়েছে সরকার। শুরুতে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের এবং দ্বিতীয় ডোজের পর বুস্টার ডোজে ছয় মাস সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও পরে দুই দফায় বয়স ও সময় কমানো হয়েছে। এখন ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর যাদের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে তারা এসএমএস না পেলেও কেন্দ্রে এসে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারছেন।
সূত্র: আরটিভি