শিরোনাম
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরই মধ্যে শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) থেকে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের ছুটি শুরু হয়েছে। তাই সড়কে চাপ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। যদিও গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টার পর থেকে রাজধানী ছাড়তে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে।
গত দুই বছর করোনার কারণে ঈদে মানুষ ঢাকা ছেড়েছে তুলনামূলক কম। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। করোনা সংক্রমণ সহনীয় পর্যায়ে থাকায় ঈদে বাড়ি যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। অফিস ছুটি হওয়ার পর থেকেই স্টেশন-টার্মিনালমুখী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে নগরীতে বেড়েছে যানবাহনের চাপও।
এসব যানবাহন সাধারণত কমলাপুর, বিমানবন্দর রেলস্টেশন, গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী বাস টার্মিনালমুখী। বিকেল ৩টার পর থেকে বিজয়সরণি-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-জাহাঙ্গীর গেট-মহাখালী-বনানী সড়কে যানবাহনের বিশাল জটলা দেখা গেছে।
নগরীতে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্য শামসুল আলম বলেন, হঠাৎ করেই যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এসব গাড়ি বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর স্টেশনের দিকে যাচ্ছে। অফিস ছুটি হওয়ার পর অনেকে গ্রামের বাড়ির দিকে রওয়ানা দিয়েছে।
নগরীতে অনেকে প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে বাস টার্মিনালমুখী হয়েছেন। গাবতলীমুখী যাত্রীদের জন্য শ্যামলী-কল্যাণপুর-টেকনিক্যাল সড়কে জটলা দেখা গেছে। একইভাবে কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেল স্টেশন সংলগ্ন সড়কেও জটলা দেখা গেছে।
মিরপুর-শ্যামলী শিশু মেলার সামনে লাগেজ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সরকারি চাকুরিজীবী আরিফুল ইসলাম। শুক্রবার ও ১ মের কারণে কয়েকদিন আগেই ছুটি পেয়েছেন তিনি। দুই বছর পর সপরিবারে মেহেরপুর যাচ্ছেন তিনি। জে আর পরিবহনে উঠার জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি।
আরিফুল ইসলাম বলেন, এবার একটু আগেই ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছি। করোনা সংকট ও নিজের অসুস্থতার কারণে গত দুই ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। এবার বাড়ির সবার সঙ্গে ঈদ করবো কোনো দীর্ঘশ্বাস ছাড়াই।
সূত্র: জাগো নিউজ