শিরোনাম
এবার স্বল্প সময়ের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে হজ কার্যক্রম পরিচালনা করাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
এছাড়া বিমান ভাড়া আরও কমিয়ে হজ প্যাকেজ ঘোষণার দাবি জানান তিনি। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের (আরআরএফ) ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন হাব সভাপতি।
তিনি বলেন, সরকার আগামী ৩১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে হজ ফ্লাইট শুরু করা সম্ভব নয়। আগামী ১৫ জুন থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর দাবি জানান হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠনের এই নেতা।
আরআরএফ সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদলের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতি, আটাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদ আহম্মেদ মজুমদার, আটাবের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সায়েম মো. হাসান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল।
এর আগে দুপুরে হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচিবালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে আগামী ৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর সম্ভাব্য তারিখের কথা জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এছাড়া হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণের কথা জানান তিনি।
তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ৩১ মে’র মধ্যে প্রথম হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন হাব নেতারা। একই সঙ্গে বিমান ভাড়াও কমানোর দাবি জানান তারা।
সে সময় এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম সাংবাদিকদের বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জিডিএস সিস্টেমে প্রদর্শিত গড় ভাড়া আমরা এখানে উপস্থাপন করেছি। সেই ভাড়ার গড় করলে তা এক লাখ ১০ হাজারের মধ্যে থাকে। এর আগেও যখনই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, ফুয়েলের দামের কথা বলে বাড়ানো হয়েছে। এ বছর ফুয়েলের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তাব ছিল ভাড়া আরও কমানো। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব ছিল এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। আমরা মনে করি ভাড়াটি আরও কমানো উচিত। ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে আসা উচিত। আমি প্রতিমন্ত্রীকে বিষয়টি রিভিউ করার জন্য বলেছি।
‘পাশাপাশি আমরা একটি কথা জানিয়ে দিয়েছি। এই ভাড়া নেওয়া হয় ডেডিকেটেড ফ্লাইটের (যে ফ্লাইটে শুধু হজযাত্রীদের পরিবহন করা হয়) জন্য। কিন্তু হজযাত্রীদের বেশির ভাগকে নেওয়া হয় শিডিউল ফ্লাইটে।’
‘২০১৯ সালে মোট হজের সময় ৩৬৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে, এর মধ্যে ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে মাত্র ১৪৯টি। কিন্তু ৩৬৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইটেরই ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এটা যাতে না হয়। এ বছর একটি শিডিউল ফ্লাইটেও হাব হজযাত্রী পাঠাবে না।’
আগামী ৩১ মে থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব নয় জানিয়ে হাব সভাপতি বলেন, নিবন্ধনের বিভিন্ন কাজ রয়েছে, এজেন্সি টু এজেন্সি সমন্বয়, মোনাজ্জেম নির্বাচন, সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া, পরিবহন, খাবারের ব্যবস্থা সবকিছুর পর ভিসা হবে এরপর হজযাত্রী যাবেন। এটা বিশাল একটা প্রক্রিয়া। সঙ্গত কারণে ৩১ মে থেকে হজযাত্রী প্রেরণের জন্য কোনোভাবেই হাব প্রস্তুতি নিতে পারবে না, এটা সম্ভব নয়। সৌদি আরব অংশে খরচ কত হবে সেটা আমরা এখনও জানতে পারিনি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৯ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন বলে ইতোমধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। করোনা মহামারিতে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত দুই বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি।