শিরোনাম
আট হাজার শিশুর যত্নকেন্দ্র চালু হচ্ছে আগামী জুন মাসে। ‘ইন্টিগ্রেটেড কমিউনিটি বেইজড সেন্টার ফর চাইল্ড কেয়ার, প্রটেকশন অ্যান্ড সুইম-সেইফ ফ্যাসিলিটিজ’ প্রকল্পের আওতায় ১৬ জেলার ৪৫টি উপজেলায় এই কেন্দ্র চালু হচ্ছে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ (ইসিডি) বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্পের পরামর্শক মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হওয়ার কথা ছিল গত জুলাই থেকে, সেটা সংশোধন করা হয়েছে। আমরা আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহেই একটি উদ্বোধন করতে চাই। জুলাই থেকেই আমরা সার্ভিস ডেলিভারিতে যাব।
এসব যত্নকেন্দ্রে একজন করে শিশু যত্নকারী (কেয়ার গিভার) ও একজন করে সহকারী যত্নকারী নিয়োগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে শিশুদের সাঁতার শেখাতে এক হাজার ৬০০ সাঁতার প্রশিক্ষকও থাকবেন।
তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭১ কোটি ৮২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। বেসরকারি সংস্থা ও সরকারের অন্যান্য দপ্তরের সহায়তায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় শিশু একাডেমির মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে থাকা বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ (ইসিডি) বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সেন্টারগুলো একেবারে কমিউনিটি বেইজড হবে। সেখানকার নারীরাই হবেন কেয়ার গিভার। কেয়ার গিভারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। স্থানীয়ভাবে কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার জন্য কমিটি করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রে থাকা শিশুদের সাঁতার শেখানোর কাজটি বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় হবে। শিক্ষার্থীদের সাঁতার শেখাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
প্রকল্পের পরামর্শক আরও বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হওয়ার কথা ছিল গত জুলাই থেকে, সেটা সংশোধন করে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে করা হয়েছে। একনেকে অনুমোদনের পর চলতি সপ্তাহের মধ্যেই প্রকল্পের জিও হবে। বর্তমানে আমাদের গ্রাউন্ডওয়ার্ক চলছে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, গ্রামাঞ্চলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিশুকে দেখার কেউ থাকে না। বাবা কাজে চলে যান, মাও গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ভাই-বোনরা স্কুলে চলে যায়। এ অবস্থায় পরিবারের ছোট শিশুরা আনকেয়ারড অবস্থায় থাকে। এসময় ওরা খেলতেগিয়ে পানিতে পড়ে যায়। এ জন্য শিশুদের সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিশুযত্ন কেন্দ্রে রাখবো। কেন্দ্র হবে ওই শিশুর বাড়ির আশপাশে। যে শিশুরা স্কুলে পড়ে তাদের সাঁতার শেখানো হবে।
এ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিজ ও যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোর্ড ইনস্টিটিউশন।
সূত্র: আরটিভি