শিরোনাম
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শেষে আবারও জমে উঠেছে নিউমার্কেট। ক্রেতাদের উপস্থিতি ও বিক্রেতাদের হাঁকডাকে প্রথমদিন সরগরম ছিল নিউমার্কেট।
শুক্রবার রাজধানীর নিউমার্কেট গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। দেখে বোঝার উপায় ছিল না এই এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছিল শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা।
এদিন সপরিবারে কেনাকাটা করতে আসেন নিহার নামে এক তরুণী। সংঘর্ষের পরের দিন এই এলাকায় এসে ভয় লাগছে আছে কি না জানতে চাইলে বলেন, ভয় তো কিছুটা আছেই। তবে ঈদেরও তো বেশিদিন নেই। ছোটরা নতুন কাপড়ের জন্য কান্নাকাটি করছে। না এসেও তো পারি না। তবে যেহেতু মীমাংসা হয়ে গেছে, আশা করি আর সমস্যা হবে না।
বন্ধুরা মিলে শপিংয়ে আসেন ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র নাহিদ। তিনি বলেন, পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন ক্লাসও বন্ধ দিয়ে দিয়েছে। বাড়িতে চলে যাবো। আবার মার্কেটও খুলে দিয়েছে, তাই আসলাম। বন্ধ না থাকলে দুই দিন আগেই আসতাম। আর এখানে চাহিদা অনুযায়ী পোশাক পাওয়া যায়। তাই অন্য এখানে আসা।
নিউমার্কেটের দোকানি মাহিন বলেন, আমরা ভয়ে ছিলাম যে এবারের ঈদেও মনে হয় খারাপ অবস্থা যাবে। আলহামদুলিল্লাহ ঝামেলা শেষ হলো। আজকে ভালই কাস্টমার এসেছে। সকাল থেকেই বেচাকেনা আজকে ভালো ছিল।
একাধিক ব্যবসায়ী একই জানান। তারা জানান, দুই দিনে তাদের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আবার ক্রেতা আসায় আশা দেখছেন তারা। তারা আশা করছেন, ঈদের আগ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক থাকবে।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাহিদ হাসান নামে এক ডেলিভারিম্যান। এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেলে মো. মুরসালিন (২৪) নামে আহত এক দোকান কর্মচারীর মৃত্যু হয়।
পুলিশ বলছে, নিউমার্কেটের ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের কর্মচারীদের মধ্যে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত।
সূত্র: জাগো নিউজ