শিরোনাম
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিরল প্রজাতির প্রাণী তক্ষক ক্রয়-বিক্রয় চক্রের ৫ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগ।
সম্প্রতি রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর ও গাজীপুরের পুবাইল ঘানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সোয়েম আহম্মেদ সোহেল, মো. এনামুল হক, মো. হোসেন আলী, মো. মিজানুর রহমান ও মো. মামুন মিয়া।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি তক্ষক, নির্যাতনের কাজে ব্যবহৃত ১টি গামছা, ১টি প্লাস্টিকের লাঠি, নাইলন রশি, ১টি ওয়াকিটকি ও ১টি এন্টেনাযুক্ত ল্যান্ডফোন উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সোয়েম আহম্মেদের গাজীপুরের পুবাইল কলেজ রেইলগেইটের বাধন সড়কে কথিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোয়েন্দা সংবাদ সোসাইটি নামে একটি অফিস আছে। সোয়েম সেই অফিসে যুগ্ম পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। কথিত মানবাধিকারের অফিস পরিচালনার আড়ালে সোয়েম আহম্মেদ সেই অফিসকে প্রতারণার আঁতুড়ঘর এবং একটি টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন সময় অনেককেই তক্ষক বিক্রির প্রলোভন দেখাতো। পরবর্তী সময়ে তাকে সোয়েম আহম্মেদের অফিসে নিয়ে আসতো। এরপর প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে তক্ষক ক্রয় করতে বাধ্য করতো। ভিকটিম তক্ষক ক্রয় করতে অস্বীকার করলে তারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করাসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিকটে থাকা নগদ টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নিতো এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করতো। দাবীকৃত টাকা না দিলে তারা ভিকটিমদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে ধরিয়ে দিবে বলে ভয়-ভীতি দেখাতো।
হাফিজ আক্তার বলেন, তক্ষক, সীমান্ত পিলার, ডলার, কয়েন এগুলোর কোন বাজার মূল্য নেই। কিন্তু প্রতারকরা সহজ সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তিনি সাধারণ মানুষকে এ ধরণের প্রলোভনে না পড়ার অনুরোধ করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় প্রতারণাসহ একাধিক মামলা রয়েছে উল্লেখ করে ডিবি কর্মকর্তা বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানায় তাদের নামে আরো একটি মামলা দায়ের হয়েছে।