শিরোনাম
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণতন্ত্রকে সংহত করতে ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কারা নির্বাচনে আসবে সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গেড় মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধের বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় এবং তারা যেহেতু বারবার বিদেশিদের কাছে সববিষয় নিয়ে ধরনা দেয়, তারই পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু মিডিয়ার সামনে একথা বলেছেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেননি। তার বক্তব্য একান্তই তার ব্যক্তিগত, সরকারের কিংবা আমাদের দলের বক্তব্য নয়।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন কারও জন্য দাঁড়ায়নি, ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনের ট্রেনে উঠবে কী উঠবে না, সেটা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিল। পরে ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনের ট্রেনে গিয়েছিল। সুতরাং, নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও কিছু হলেই বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়, চিঠি লিখে। এমনকি বাংলাদেশকে সাহায্য দেওয়ার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য বিএনপি কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি লিখেছে। খালেদা জিয়া নিজেই মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন টাইমসে এ নিয়ে নিবন্ধ লিখেছেন। আসলে বিএনপিকে নির্বাচনভীতিতে পেয়ে বসেছে। শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন না, তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করছে। তাদের ভীতি দূর করার দায়িত্ব আমাদের নয়। তবে যারা গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, জনগণের রায়ে বিশ্বাস করে, তাদের জন্য নির্বাচনের কোনও বিকল্প নেই। আমি আশা করবো, বিএনপি নির্বাচনভীতি কাটিয়ে উঠে নির্বাচনে অংশ নেবে।’
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতারের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি ২০১৯ সালের একটি বিস্ফোরক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি আছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলাও আছে, সেজন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকালের মিছিলের সঙ্গে তার গ্রেফতারের কোনও সম্পর্ক নেই।’
একইসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করেছিল, যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার হুকুমদাতা, তাদেরও গ্রেফতার করা প্রয়োজন বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন