শিরোনাম
বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মার্কিন আইন প্রণেতা সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চুক শুমার ও রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য স্টিভ চ্যাবোটের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
ড. মোমেন বলেন, আমাদের সমুদ্র অর্থনীতিতে যোগদান এবং সেখানে (বঙ্গোপসাগর) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগর থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের) বলেছি, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আরও সম্পৃক্ত হওয়ার এখন সময় এসেছে। আমি বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতা ও প্রশাসনের কর্মমকর্তাদের মধ্যে উষ্ণ মনোভাব প্রত্যক্ষ করেছি।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র অবাধ, উন্মুক্ত, সংযুক্ত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও সহনশীল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরের ফলাফলে আমরা খুবই খুশি। এ সফর ফলপ্রসূ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ ও ইতিবাচক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ড. মোমেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্প্রতি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ ও অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে কাজ করতে চায়, যেন আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এ অঞ্চলের সমুদ্র ও আকাশ পরিচালনা এবং ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন আইন প্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান।
বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং নবগঠিত নির্বাচন কমিশন সম্পর্কেও অবহিত করেন।
একইসঙ্গে বাংলাদেশে বিশেষত ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে আরও বেশি মার্কিন বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি, যেন যুক্তরাষ্ট্র আরও সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ সরবরাহ করতে পারে।