শিরোনাম
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্মোচনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অষ্টম রাউন্ডের নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অষ্টমবারের মতো এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দু’দেশের মধ্যে সাতবার নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহে এই সংলাপ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের আর্মস কন্ট্রোল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি বনি ডেনিস জেনকিন্সের নেতৃত্বে দুদেশের প্রতিনিধির অংশ নেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংলাপে সামরিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি জিসোমিয়া ও আকসা, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয় আলোচনা হয়েছে। এ সময় জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সংলাপে চারটি বড় সেশনে বিভিন্ন সাব-টপিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেশনগুলো হলো- বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ দমন ও বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং শান্তিরক্ষা।
এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেশন হচ্ছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সহযোগিতা। এর অধীনে ফোর্সেস গোল ২০৩০, কাউন্টারিং আমেরিকাস অ্যাডভারসারিস থ্রু স্যাঙ্কশনস অ্যাক্ট (ক্যাটসা), ম্যারিটাইম নিরাপত্তা, জিসোমিয়াসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর অধীনে নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী উন্নত সমরাস্ত্র কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সমস্যা হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনলে শর্তের বেড়াজাল আর রাশিয়া থেকে কিনলে নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা। সংলাপে এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।