বিএসএমএমইউতে নার্স নিয়োগের নামে কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার ২

ফানাম নিউজ
  ০৪ এপ্রিল ২০২২, ১২:২৬

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে একাধিক চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। এ চক্রের মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার আ্যন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

গ্রেফতাররা হলেন- এমরান হোসেন (৪১) ও আহম্মেদ উল্লাহ ফয়সাল (২৭)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্রের ফটোকপি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় লেখা সম্বলিত প্যাডে এক লাখ ৫০ হাজার টাকার রশিদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিল উদ্ধার করা হয়।

গত রাতে অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিএসএমএমইউতে সিনিয়র স্টাফ নার্সের পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে প্রতারক চক্রের হোতা এমরান হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় সাদিয়া আক্তার নামের একজন ভুক্তভোগীর।

‘এমরান নিজেকে ইমন হোসেন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজি বিভাগে কর্মরত হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি সাদিয়াকে সেখানে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে নিয়োগ পাইয়ে দিতে পারবেন বলে জানান।’

এডিসি নাজমুল বলেন, সাদিয়া সরল বিশ্বাসে প্রলুব্ধ হয়ে এমরান হোসেনকে বিভিন্ন সময়ে মোট দেড় লাখ টাকা দেন। এরপর এমরান তাকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেন।

পরবর্তীকালে ভিকটিম নিয়োগপত্র নিয়ে বিএসএমএমইউ যোগ দিতে গেলে কর্তৃপক্ষ নিয়োগপত্রটি ভুয়া বলে জানায়। এরপর ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

‘মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা বিভাগ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টার ও ফার্মগেট এলাকা থেকে এমরান ও ফয়সালকে গ্রেফতার করে।’

প্রতারকদের অপরাধের মোটিভ সম্পর্কে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতারক চক্রটি প্রথমে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের টার্গেট করে। এরপর তাদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। পরবর্তীকালে তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে বিশ্বস্ততা অর্জন করে।

তিনি বলেন, সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রতারকদের কৌশল বুঝতে না পেরে তাদের ফাঁদে পা দেন। তারা প্রথমে প্রার্থীর কাছ থেকে চুক্তির কিছু টাকা নেয়। পরে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া নিয়োগপত্র বানিয়ে কৌশলে চুক্তির বাকি টাকাও হাতিয়ে নেয়। এরপর তারা প্রার্থীকে নির্দিষ্ট তারিখে নিয়োগপত্র নিয়ে প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে বলে একেবারে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

সূত্র: জাগো নিউজ