শিরোনাম
আজ জাতীয় সংসদে ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত শিল্প কারখানার বয়লার সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে প্রণয়নে সংসদে ‘বয়লার বিল-২০২২’ পাস হয়েছে। নতুন এই আইনে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তি বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার জাতীয় সংসদে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন।
বিলে বলা হয়েছে, শিল্প কারখানায় বয়লার দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। বয়লারের গা থেকে নিবন্ধন নম্বর অপসারণ, পরিবর্তন, বিকৃত বা অদৃশ্য করে অন্য বয়লার ব্যবহার করলে ২ বছরের কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হচ্ছে সেখানে।
সনদ ছাড়া বয়লার চালালে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে বিলে। বিদ্যমান আইনে এ অপরাধে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
নিয়মের বাইরে কেউ বয়লার তৈরি বা আমদানি করলে ২ বছরের জেল ও ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আর নিয়মের বাইরে গিয়ে বয়লার ব্যবহার করলে বা কাউকে ব্যবহারের অনুমতি দিলে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল এবং ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার জন্য বয়লার ব্যবহারকারী, পরিচালনাকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ওই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হবেন। দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ দায়ী ব্যক্তির কাছ থেকে আদায় করা হবে। তবে দুর্ঘটনা রোধে কেউ যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছেন- এমন প্রমাণ করতে পারলে তিনি দায়ী হবেন না।
আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রধান বয়লার পরিদর্শক এবং বয়লার পরিদর্শক থাকবেন।
আর সার্বিক তত্ত্বাবধানে একটি বয়লার বোর্ড থাকবে, সেখানে একজন চেয়ারম্যান এবং ৭ জন সদস্য থাকবেন। সদস্যদের মেয়াদ হবে ৩ বছর।
বিলে বলা হয়েছে, বয়লার মেরামত করতে হলে প্রধান বয়লার পরিদর্শককে লিখিতভাবে জানাতে হবে। না জানিয়ে মেরামত করা হলে ১ বছরের জেল বা ১ লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
প্রধান পরিদর্শক শুনানির সুযোগ দিয়ে ১ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয়বার এই অপরাধ করার জন্য দ্বিগুণ জরিমানা করতে পারবেন।
গত বছরের ১৪ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলা হয়। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সূত্র: দেশ রূপান্তর