শিরোনাম
বুধবার (৩০ মার্চ) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাইন-ইলেভেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে সন্ত্রাস দমনে তখনকার বিএনপি সরকার র্যাব সৃষ্টি করেছিল। তবে, তারা র্যাবকে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে।
কিন্তু আওয়ামী লীগ আসার পর র্যাব জঙ্গি, সন্ত্রাস দমন, হত্যার তদন্তসহ মানবিক কাজই করছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, তারা মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছে।
এছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য কিছু মানুষকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে। এদের কাজটি হচ্ছে বাংলাদেশে যখন একটি অস্বাভাবিক সরকার থাকে অথবা অবৈধ দখলকারী কেউ যদি থাকে তখন তারা খুব ভালো থাকে। তাদের খুব গুরুত্ব থাকে। যখন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলমান তারা ভালো থাকে না। এ জন্য তারা সব সময় তার (সরকারের) বিরুদ্ধে লেগেই থাকে। যতই ভালো কাজ করুক তারা পেছনে লেগেই থাকে কারণ তারা ভালো দেখতে চায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা সব সময়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। নানা ধরনের অভিযোগ, চিঠি—এই র্যাব সম্পর্কেও তাদের অভিযোগ। এ অপপ্রচার তারাই করেছে। ওখানকার কংগ্রেসম্যান, সিনেটরদের কাছে তথ্য পাঠানো, চিঠি দেওয়া—নানাভাবে তারা এ অপপ্রচার করে। সেখানকার আমাদের দূতাবাস সব সময় সক্রিয় ছিল। যখন এ ব্যাপার নিয়ে তারা আলোচনা করেছে তখন দূতাবাস কাউকে ঢুকতে দেয়নি। এটা আরও দুই বছর/তিন বছর আগের কথা। এ প্রক্রিয়া বহুদিন থেকেই চলছে। আমরা বারবার তাদের জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এখানে র্যাবের কোনো সদস্য যখন অন্যায় করেছে, সঙ্গে সঙ্গে তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। আপনারা জানেন, আমাদের একজন মন্ত্রীর জামাই একটি অপরাধ করেছিল। মন্ত্রীর জামাই হিসেবে কিন্তু আমরা ক্ষমা করিনি। তাকে ঠিকেই বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ অন্যায়কে কোনো প্রশ্রয় দেয় না—সে যেই হোক। আইনশৃঙ্খলা সংস্থার যে কেউ অপরাধ করলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই। কাজেই এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু থাকে না।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু কিছু লোক আছে তারা একটু বুদ্ধিজীবী, ইনটেলেকচ্যুয়াল, অকুম-সমুক নানা ধরনের সংগঠন তারা করে। এ সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারলে তারা পয়সা যোগাতে পারে। এ ছাড়া তারা পয়সা যোগাতে পারে না। আমরা দেখেছি ব্যাপারটা সেখানেই। এখান থেকে তাদের একটা প্রতিনিধি গেল। সেখানে একটি সম্মেলন হলো। সেখানে আমাদের দূতাবাস বা কাউকে তারা থাকতে দেয়নি। উপস্থিত হতে দেয়নি। সেখানে আপত্তিটা আমাদের দেশের লোক করেছে। আজকে র্যাবের বিরুদ্ধে যে বদনাম এ জন্য অন্যদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের দেশের লোক বদনামটা করে। এই র্যাবের বিরুদ্ধে বদনাম তো আমার দেশের মানুষ করে যাচ্ছে। এ জন্য বলার কিছু নেই। আর সে জন্য এ নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
সূত্র: দেশ রূপান্তর