শিরোনাম
মঙ্গলবার ঢাকার হোটেল র্যাডিসনে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে সরকারি–বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভূমিকা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে পিপিপি কর্তৃপক্ষ এবং জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপি আয়োজিত এক কর্মশালায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, পদ্মা সেতু ৩০ জুন খুলে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গত সোমবার এ বিষয়ে দীর্ঘ একটি বৈঠক হয়েছে।
কর্মশালায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনা মহামারীর কারণে এক দিনও পদ্মা সেতু ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল না। একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা বা বায়োবাবল তৈরি করা হয়েছিল। তার মধ্যে কাজ চলেছে।
তিনি বলেন, ‘না’ শব্দটির ব্যবহার পরিহার করে ‘হ্যাঁ’ বলার অভ্যাস করতে হবে। সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতকে আরো সম্পৃক্ত করতে হবে। কারণ, তারা অনেক বেশি প্রযুক্তি ঘনিষ্ঠ। বিনিয়োগ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ওপর জোর দিতে হবে। এটাই প্রকল্পের ভিত্তি।
তিনি বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই যেকোনো প্রকল্পের যথার্থতা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দেয়। সেই সঙ্গে খরচ কত হবে, তা বোঝার জন্য নকশা ও ব্যয় প্রাক্কলন যেকোনো প্রকল্পের জন্য জরুরি বিষয়।
অনুষ্ঠানে পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ বলেন, পিপিপির জন্য বাংলাদেশ খুব সম্ভাবনাময় একটি জায়গা। এটি সরকারের ওপর অর্থ সংস্থানের চাপ ও দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাজেট ঘাটতি কমায়। সেই সঙ্গে অবকাঠামোগত ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা সৃষ্টি করে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নেও ভূমিকা রাখে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ আলদুহাইলান ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান। কর্মশালায় ‘ক্লাইমেট স্মার্ট পিপিপি’ বিষয়ে বক্তব্য দেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এ কে এম মামুনুর রশীদ।
সূত্র: দেশ রূপান্তর