শিরোনাম
ভ্যাট প্রত্যাহারের কারণে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর পর এবার পাম অয়েলের দামও কমানো হলো। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে পাম অয়েলের দাম কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সয়াবিন তেল লিটারে ৮ টাকা কমানো হয়েছিল। এবার পাম অয়েলের দর কমানো হলো লিটারে ৩ টাকা।
সংগঠনের সচিব নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত মূল্যতালিকা অনুযায়ী এত দিন পাম অয়েলের লিটার প্রতি খুচরা মূল্য ছিল ১৩৩ টাকা, সেটা ২২ মার্চ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হবে।
এর আগে গত রবিবার মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাঁচ লিটারের বোতলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৭৬০ টাকা, যা এত দিন ৭৯৫ টাকা ছিল।
আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা, যা এত দিন ১৪৩ টাকা নির্ধারিত ছিল।
এরপর ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে পাম তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত জানানো হলো।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় সাধারণ জনগণ বিপদে পড়ে। এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার দোহাই দিয়ে মার্চের শুরু থেকে ভোজ্যতেলের আরও দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।
এ পরিস্থিতিতে রোজার আগে বাজার পরিস্থিতি সামলাতে তেল, চিনির মতো নিত্যপণ্য আমদানিতে ভ্যাট কমানোর নির্দেশ দেয় মন্ত্রিসভা।
ভোজ্যতেলের ওপর তিন স্তরে মোট ৩৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। সরকারের সিদ্ধান্তে খুচরা পর্যায়ের ৫ শতাংশ ভ্যাট, উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।
সয়াবিন ও পাম অয়েলের নতুন এই দাম পুরো রমজানেই থাকবে। আন্তর্জাতিক বাজার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে দাম নির্ধারণে আবার ২২ মে বসার কথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।
সূত্র: দেশ রূপান্তর