শিরোনাম
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কার্যপদ্ধতি ঠিক করতে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) দুই দফা সংলাপে ডাকলেও খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বিশিষ্ট নাগরিকেরা।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১১টায় দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু হয়। এ দিন ৩৯ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ছিলেন মাত্র ১৯ জন। অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় তুলনামূলক উপস্থিতি বাড়লেও আমন্ত্রিতের অর্ধেকই অনুপস্থিত।
এদিকে জানা যায়, মঙ্গলবারের এই সংলাপে ৪০ বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও পরে একজনকে এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গত ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদদের সঙ্গে প্রথম সংলাপ আয়োজন করে ইসি। সেদিন ৩০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, কিন্তু উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৩ জন।
এদিন বেলা সোয়া ১১টায় শুরু হওয়া সংলাপে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আহসান হাবিব খান। ওমরাহ পালন করতে যাওয়ায় ছিলেন না নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান। এ ছাড়া ইসি সচিবসহ কমিশনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দফা সংলাপে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, এম হাফিজ উদ্দিন খান, আবদুল মুহিত চৌধুরী, ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আব্দুল ময়ীদ চৌধুরী, রোকেয়া এ রহমান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অধ্যাপক রওনক জাহান, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, নিজেরা করি’র কো-অর্ডিনেটর খুশি কবির, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান (সিইউএস) অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবুল বারকাত, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন, অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, ড. এস শামীম রেজা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, লিডারশিপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. সিনহা এম এ সাঈদ, লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গোলাম হোসেন, অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল, গভর্নেন্স অ্যান্ড রাইট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ড. জহুরুল আলম, স্ট্র্যাটেজি এনালিস্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল হাফিজ, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মহিউদ্দীন আহমদ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের প্রফেসর (বঙ্গবন্ধু চেয়ার) ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইনডিজিনিয়াস পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়ালিউর রহমান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বেগম শাহীন আনাম ও লিডারশিপ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. এম এ সাঈদ।
সূত্র: দেশ রূপান্তর