শিরোনাম
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় যাত্রীদের আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০টি প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ (কোচ) কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পসহ ১৫ হাজার ৭৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় অংশ নেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের প্রকল্পের সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণের মাধ্যমে বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে জাতীয় ও আন্তঃদেশীয় রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। যমুনা নদীর ওপর ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ চলমান। পদ্মা সেতু এবং যমুনা নদীর ওপর রেল সেতু তৈরি হলে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে এবং পাশের দেশগুলোর সঙ্গে উপযুক্ত রেল সংযোগ তৈরি হবে।
এর ফলে দেশের অভ্যন্তরে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহনেও প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে। এমতাবস্থায় পুরাতন ক্যারেজগুলোর প্রতিস্থাপনসহ আগামী দুই থেকে চার বছরের মধ্যে আরও ৪০০টি যাত্রীবাহী ক্যারেজ প্রয়োজন হবে। এ কারণে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) আর্থিক সহায়তায় প্রাথমিকভাবে ২০০টি যাত্রীবাহী ক্যারেজ কেনা হবে।
এই প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় এক হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। প্রকল্পে ইআইবির ঋণ এক হাজার ৩৩১ কোটি ২০ লাখ টাকা। বাকি অর্থ সরকারের কোষাগার থেকে মেটানো হবে।
অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ‘সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২’, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)’, ‘বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প’, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘বিএএফ ঘাঁটি জহুরুল হক, চট্টগ্রামে বিমানসেনা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রতল্প’, ‘দি প্রজেক্ট ফর ইমপ্রুভমেন্ট অব গভর্নেন্স অল্ডি ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিস’, ‘নওগাঁ সড়ক বিভাগধীন ৩টি আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ৩টি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প’।
এছাড়াও ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বীজ বর্ধন খামার স্থাপন’, ‘ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাক ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরীক্ষামূলকভাবে ড্রিপ সেচ পদ্ধতির প্রচলন’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ