শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পানির দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমগ্র পানিসম্পদের ওপর চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙন রোধ, ভূমি পুনরুদ্ধার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে আওয়ামী লীগ সরকার এরইমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে; যা দেশের আপামর জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ‘বিশ্ব পানি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
ভূগর্ভস্থ পানি দৃশ্যমান নয় কিন্তু এর প্রভাব সর্বত্র বিদ্যমান মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি আমাদের তরল মিঠা পানির সবচেয়ে বড় উৎস। মানুষের পানির চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য পানি এবং স্যানিটেশন প্রাপ্যতা নিশ্চিত করাই এসডিজি-৬ এর লক্ষ্য। প্রতিবছর পানি দিবসে মিঠা পানির গুরুত্বের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এসডিজি-৬ অর্জনকে গতিশীল করার প্রয়াস নেওয়া হয়। অপরদিকে সারাবিশ্বের ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে আছেন এবং ২.৩ বিলিয়ন মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
সরকারপ্রধান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়; যা ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ভূগর্ভস্থ পানি বাস্তুতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখে, নদীর ভিত্তিপ্রবাহ বজায় রাখে, ভূমির অবনমন ও সমুদ্রের পানির অনুপ্রবেশ রোধ করে। সুতরাং এই মূল্যবান সম্পদকে টেকসইভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে সুষ্ঠু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও সুষ্ঠু পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে- বিশ্ব পানি দিবসে এ প্রত্যাশা করি। আমি ‘বিশ্ব পানি দিবস-২০২২’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
সূত্র: আরটিভি