বিশ্ব পানি দিবস: ঢাকায় সুপেয় পানির ঘাটতির আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

ফানাম নিউজ
  ২২ মার্চ ২০২২, ১১:০৪

আজ মঙ্গলবার বিশ্ব পানি দিবস। পানির প্রাথমিক ও মূল্যবান উৎস ভূগর্ভস্থ। অযৌক্তিক আহরণ ও মানব সৃষ্ট দূষণে দিন দিন এই পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ঢাকায় অতিদ্রুত সুপেয় পানির ঘাটতির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালন করা হয়। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব পানি দিবস ২০২২ উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। এবারের এ দিবসটির প্রতিপাদ্য— ভূগর্ভস্থ পানি : অদৃশ্য সম্পদ, দৃশ্যমান প্রভাব।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক দুটি বাণী দিয়েছেন। এতে তারা বলেন, নদীমাতৃক কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নে সঠিক ও পরিকল্পিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ভূমিকা অপরিসীম।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, সারাদেশেই পানির স্তর নিচে নামছে। তবে ঢাকায় প্রতি বছর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১০ ফুট করে নিচে নেমে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সার্ফেস ওয়াটারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে ভূগর্ভস্থ পানির এক্সট্রাকশন কমাতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির ম্যাপিং করতে হবে এবং তার ফলাফল জনগণকে জানাতে হবে। শিল্পকারখানাগুলোকে পানি শোধনে বাধ্য করতে হবে। পুকুর-নদীসহ সব জলাশয় ফিরিয়ে আনতে হবে।

ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর পানি ব্যবহারের অনুপযোগী। সুপেয় পানির চাহিদার শতকরা ৭৮ শতাংশ গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করছে ঢাকা ওয়াসা। ১৯৭০ সালে ৪৯টি গভীর নলকূপ ছিল ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে। এখন ৯০০টি নলকূপ ব্যবহার হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন উজাড়, শিল্প, কৃষি ও পশুপালন, পয়োনিষ্কাশন, তেল দূষণ, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, রোগ-জীবাণু, লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ এসব কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।

সূত্র: আরটিভি