শিরোনাম
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দেশের প্রথম কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রকল্প এলাকায় উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত এ বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের বিদ্যুৎ খাতের এক নতুন মাইলফলক।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে পটুয়াখালী পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
পায়রায় পৌঁছানোর পর রাবনাবাদ নদীর কয়লা জেটিতে রঙিন পাল তোলা ২০০ নৌকা থেকে পতাকা উড়িয়ে এবং গানের সুরে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানো হয়।
জানা গেছে, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের পাশাপাশি দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জেলার দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ, কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধনও করবেন তিনি।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) নামের যৌথ কোম্পানি গঠিত হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১৯ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। যার প্রায় ৮০ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক।
২০২০ সালের ১৫ মে উৎপাদনে আসে এ প্রকল্পের ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট। একই বছরের ৮ ডিসেম্বর উৎপাদনে আসে একই সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট। গোপালগঞ্জের বিদ্যুৎ-উপকেন্দ্রের মাধ্যমে ইতিমধ্যে এ বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে জাতীয় গ্রিডে। প্রকল্প এলাকা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটারের দুটি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু গোপালগঞ্জ ঢাকার আমিনবাজার পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন পুরোপুরি হয়নি। অপাতত দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে না।
সূত্র: দেশ রূপান্তর