শিরোনাম
রোববার (২০ মার্চ) ঢাকায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অষ্টম অংশীদারি সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংলাপে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে।
সংলাপে যোগ দিতে শনিবার (১৯ মার্চ) বিকালে ঢাকায় পৌঁছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিসংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। এসময় তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
সংলাপে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফর করবেন। এসময় তিনি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অংশীদারদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতার ওপর জোর দিবেন।
এসময় প্রতিনিধিদলে সঙ্গে থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ও প্রতিরক্ষা দপ্তরের নীতিবিষয়ক ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি আমান্ডা ডরি। ঢাকায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোববার (২০ মার্চ) ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দ্বিপক্ষীয় পার্টনারশিপ ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বেলা ১টায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বৈঠক ও সফরের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। এবারের পার্টনারশিপ ডায়ালগে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেয়া হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইন্দো প্যাসিফিক ইস্যু, সামরিক চুক্তিতে বাংলাদেশকে সম্মত করাসহ অন্যান্য ইসু গুরুত্ব পাবে। এছাড়া বাণিজ্য, নিরাপত্তা, মানবাধিকার, সুশাসন ও রোহিঙ্গাসহ নানা বিষয় এবারের পার্টনারশিপ ডায়ালগে স্থান পাবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
তাছাড়া সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন অংশীজনের সাথে বৈঠক করবেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি। ২১ তারিখ ঢাকা ছেড়ে যাবেন নুল্যান্ড।
র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে এবারের অংশীদারি সংলাপকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অংশীদারি সংলাপ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আরও দুটি প্ল্যাটফরম রয়েছে। এর একটি নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সংলাপ, অপরটি বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনার জন্য অর্থনৈতিক সংলাপ। তবে অংশীদারি সংলাপে যেহেতু দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়ে থাকে; এর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সব ইস্যু উত্থাপন সম্ভব।
জানা গেছে, বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিশেষ করে ঢাকা ও কক্সবাজারের কাছে বিনিয়োগ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো হবে। নীল অর্থনীতির বিষয়ে বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করা হতে পারে। সমাজের অনগ্রসর অংশের মানুষ যাতে বিচার পেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে মার্কিন সহায়তাসংক্রান্ত একটি চুক্তির বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
অংশীদারি সংলাপে জলবায়ু পরিবর্তন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খনিজসম্পদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, নৌপরিবহন প্রভৃতি খাতে মার্কিন সহায়তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।