সন্তানদের স্কুল ফি দিতে ব্যর্থ বাবা, অতঃপর আত্মহত্যা!

ফানাম নিউজ
  ১৪ মার্চ ২০২২, ১২:৩৭

রাজধানী পীরেরবাগে পরিবার নিয়ে সুন্দরভাবে বসবাস করে আসছিলেন মহসিন রেজা (৩৫)। তার ঘটে স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে। সন্তানদের মধ্যে একটি ছেলে, অন্যটি মেয়ে। ধানমন্ডি এলাকায় মহসিনের নিজের টেইলার্স ছিল। এর মধ্যেই করোনা আসায় মহসিনের সবকিছু এলোমেলো হতে শুরু করলো।

 ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এভাবেই সাংবাদিকদের কাছে ভাইয়ের অকাল মৃত্যুর করুণ ঘটনা জানাচ্ছিলেন মোহাম্মাদ আলী।

তিনি জানান, করোনার লকডাউনে ধানমন্ডিতে ভাইয়ের টেইলার্সটি বন্ধ রাখতে হলো। সংসারে হানা দিল অভাব। সে সময় সুদে টাকা ধার করে সংসার চালিয়েছেন তিনি। এরপর করোনা নিয়ন্ত্রণে এলে টেইলার্স খুলতে পেরেছেন। কিন্তু সুদের টাকা আর শোধ করতে পারেননি। এমনকি ছেলে-মেয়ের স্কুলের ফিও দিতে পারছিলেন না। আজ সাধের টেইলার্সে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মহসিন রেজা ধানমন্ডির ফ্যাশন অ্যান্ড লেডিস টেইলার্সের মালিক। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় টেইলার্স থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুনসুর আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে গতকাল রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তার ধানমন্ডির প্রতিষ্ঠান থেকে (বাসা নম্বর ৬৯/৩, রোড নম্বর ৭/এ) মরদেহ উদ্ধার করি। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই আরও বলেন, নিহতের আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে জানা গেছে, সকাল সোয়া ৯ টার মিরপুরের পীরেরবাগের বাসা থেকে দোকানে এসেছিলেন রেজা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নিহত রেজার ভাই মোহাম্মদ আলী জানান, রেজা মিরপুরের পীরেরবাগ পাকা মসজিদ এলাকার ৭৮/১ এক নম্বর বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার ছেলে নাঈম নবম শ্রেণিতে আর মেয়ে নাইমা সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। রেজার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার চিতা পুকুরিয়া গ্রামে।

সূত্র: আরটিভি