শিরোনাম
উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশীদারিত্ব এবং সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হবে। এবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’।
নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯১৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নারী দিবস পালন করে আসছে। ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটি পালন করছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী দিবস উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন।
দেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে সহযাত্রী হিসেবে কাজ করার আহবান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের ফলে নারীর উন্নয়ন আজ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
“ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, কূটনীতি, সশস্ত্রবাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী, শান্তিরক্ষা মিশনসহ সর্বক্ষেত্রে নারীর সফল অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।”
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নারীরা দেশের জন্য সাফল্য নিয়ে এসেছেন বলে উল্লেখ করেন মো. আবদুল হামিদ।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “স্বাধীনতা লাভের পর ৫০ বছরে বাংলাদেশের অন্যতম অর্জন হচ্ছে লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ।
“এরই ধারাবাহিকতায় এদেশের উন্নয়নের ধারাকে টেকসই করার লক্ষ্যে আমাদের সরকার তৃণমূল পর্যায় থেকে নারীর খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।”
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে জ্ঞানভিত্তিক দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য নারী-পুরুষ সবাইকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
১৮৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সুঁচ কারখানায় নারী শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, শ্রমঘণ্টা কমানোর দাবিতে একটি আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯১০ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে জার্মানীর নারীনেত্রী ক্লারা জেটকিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের প্রস্তাব করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর এই দিনে নারীদিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।
নারী দিবসে নানা আয়োজন
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারী দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে রাতের আঁধার ভাঙার প্রতীকী আয়োজন করেছে ‘আমরাই পারি’ পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট।
এছাড়া নিজেদর ফেসবুক টাইমলাইনে হ্যাশট্যাগ (#)আঁধারভাঙারশপথ ক্যাম্পেইনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের ছবি পোস্ট করার মাধ্যমে যুক্ত হবেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র এবং স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হবে।
টেলিভিশন ও রেডিওতে নারীর অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে।
এছাড়া দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, অধিকার- বিষয়ে প্রচার ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
সূত্র: বিডি নিউজ