শিরোনাম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনা খসড়া প্রস্তাব যুদ্ধ বন্ধের জন্য নয়, দোষারোপের জন্য ছিল। সাধারণ পরিষদের খসড়া প্রস্তাবে বাংলাদেশ, ভারতসহ কয়েকটি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সোমবার আরব আমিরাতে যাচ্ছেন।
সাধারণ পরিষদের খসড়া প্রস্তাবে বাংলাদেশ কেন ভোটদানে বিরত ছিল জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘খসড়া প্রস্তাবটি পড়লে দেখবেন, এটা যুদ্ধ বন্ধের জন্য নয়। কাউকে দোষারোপের জন্য এটি। আমরা শান্তি চাই। আমরা চাই না, কোথাও যুদ্ধ হোক। এ জন্য আমরা জাতিসংঘে বলেছি, যে দুর্ঘটনা হচ্ছে, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
সব দেশ জাতিসংঘের সনদ মেনে চলবে, এমন প্রত্যাশা করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এই সনদ অনুসরণ করে আমাদের অগ্রসর হওয়া উচিত। বাংলাদেশ সব সময় আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে। এই সংঘাতের যেন শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রতি আমাদের যথেষ্ট আস্থা আছে। সে জন্য ওনাকে আমরা এই সমস্যার সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিতে বলেছি।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর প্রতিবাদে সাধারণ পরিষদ একটি জরুরি অধিবেশন ডাকে। আলোচনা শেষে ২ মার্চ রাতে পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সমর্থনে রুশ হামলা বন্ধে একটি প্রস্তাব পাস হয়। বাংলাদেশ ওই প্রস্তাবের ওপর ভোটদানে বিরত ছিল।
পরিষদের প্রস্তাবে ১৯৩ সদস্যদেশের মধ্যে ১৪১টি পক্ষে ভোট দেয়। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তানসহ ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় রাশিয়াসহ পাঁচটি দেশ।
সূত্র: দেশ রূপান্তর