শিরোনাম
টিকা সনদ না থাকলে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণখানের কসাই বাড়ি রেলগেইট এলাকায় একটি গণটিকা কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গণহারে করোনা প্রতিরোধের টিকাদান চলছে। আগে টিকা নিতে অনেক কাগজপত্র দেখাতে হতো। কাগজপত্র নেই, হারিয়ে গেছে এসব অজুহাতে অনেকেই টিকাগ্রহণ করেননি। এখন এসব কাগজপত্রের কোনো প্রয়োজন নেই। একটা ফোন নম্বর থাকলেই টিকা পাওয়া যাচ্ছে। বন্ধের দিনগুলাতেও আমাদের টিকা কেন্দ্র খোলা। অনুগ্রহ করে সবাই টিকা নিন।’
তিনি বলেন, ‘এত সহজ করার পরেও যারা টিকা নেবেন না, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব দোকানের মালিক ও কর্মচারী অন্তত এক ডোজ করোনার টিকাগ্রহণের প্রমাণপত্র দেখাতে পারবেন না, তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা এখনো এক ডোজ টিকাও নেননি, আগামীকালের মধ্যে প্রথম ডোজটা নিয়ে নিন। টিকা নিলে টাকা লাগে না, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। বরং পরিবার ও দেশের মানুষ সুরক্ষিত থাকে। নিজের ও অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবার টিকা নিতে হবে।।
শুক্রবার সকাল থেকে মেয়র আতিকুল ইসলাম অঞ্চল-১, ৭ ও ৮ এলাকায় স্থাপিত ডিএনসিসির টিকা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘সাধারণত শুক্রবারে টিকা দেওয়া বন্ধ থাকে। কিন্তু বিভিন্ন পেশার মানুষ সপ্তাহের অন্যান্য দিনে ব্যস্ত থাকায় তাদের কথা বিবেচনা করে শুক্রবারেও উত্তর সিটি করপোরেশনের অফিস খোলা রাখা হয়েছে। এতে সাড়া মিলেছে।’
জানা গেছে, গণটিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডে ৫৪টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এতে বুথ রয়েছে ৪৮৬টি। কোনো ধরনের নিবন্ধন ছাড়াই কেন্দ্রগুলোতে টিকা নেওয়া যাচ্ছে। টিকাগ্রহণকারীরা সনদও পাচ্ছেন।
সূত্র: জাগো নিউজ