শিরোনাম
আগামী ১ মার্চ থেকে নাগরিক সেবা পেতে করোনা টিকার সনদ লাগবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সরকার সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছে। কেউ টিকা নেবে, কেউ নেবে না, তা হবে না। সবাইকে টিকার আওতায় আসতে হবে। টিকা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
গণটিকাদান কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখতে শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অফিস খোলা রাখার নির্দেশও দিয়েছেন মেয়র।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশান-২ ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে কোভিড-১৯ গণটিকাদান কর্মসূচি ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ট্রেড লাইন্সেস নিতে এবং নবায়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই টিকার সনদ দেখাতে হবে। অন্যান্য সেবা পেতেও টিকার সনদের আবশ্যকতার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
মেয়র বলেন, দেশ ও দশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং কোভিড-১৯ মুক্ত ঢাকা গড়তে সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের জন্মসনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারাও ডিএনসিসির অধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে স্থাপিত টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। ১৮ বছরের নিচে যারা রয়েছে তাদের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে আলাদা বুথের ব্যবস্থা থাকবে।
রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যারা ডিএনসিসির বুথ থেকে টিকা গ্রহণ করবেন তাদেরও তাৎক্ষণিকভাবে টিকা সনদ প্রদান করা হবে বলেও তিনি জানান।
গণটিকা কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে মেয়র শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রাটি গুলশান-২ থেকে গুলশান-১ এর সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে তিতুমীর কলেজ প্রাঙ্গণ হয়ে মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ টিকাবিষয়ক কমিটির সভাপতি মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা অংশগ্রহণ করেন।