শিরোনাম
দাঁত শরীরের একটি অপরিহার্য অংশ। এর যেকোনো সমস্যায় মোটেও অবহেলা করা উচিৎ নয়। তাই দাঁতে যেসব সমস্যা অনুভব হলে সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত-
দাঁতে গর্ত : দাঁতের ওপরে বা দু’দাঁতের ফাঁকে খাবার জমলে বা আয়নাতে দাঁতের ওপর কোনো কালো দাগ দেখলে দ্রুত ফিলিং করে নিতে হবে।
দাঁত শিনশিন অনুভূতি : ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম বা মিষ্টিতে দাঁত শিরশির করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া : ব্রাশের সময়, শক্ত কিছু খেলে অথবা মাড়িতে একটু চুষলেই মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে অনেকের। চিকিৎসকের পরামর্শে কারণ চিহ্নিত করে স্কেলিং করে নিলে ভয়াবহ জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
মুখে ক্ষত: বিভিন্ন সময়ে মুখে নানা ধরনের ঘা বা ক্ষত দেখা যায়, কিন্তু যদি কোনো ক্ষত দুই সপ্তাহের বেশি রয়ে যায়, তবে কোনো অবস্থাতেই একে অবহেলার সুযোগ নেই। মুখের ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ আমাদের অবহেলা। ব্যথা করে না, কিন্তু ভালোও হয় না এমন ক্ষত ক্যান্সারে রূপ নেয় সহজেই। আর শুরুতে শনাক্ত হলে চিকিৎসা পদ্ধতি সহজ ও শতভাগ সফল হয়।
শুষ্ক মুখ বা মুখে দুর্গন্ধ : মুখে স্বাভাবিক লালার প্রবাহ কমে গেলে বা কোনো কারণে নিশ্বাসে বাজে গন্ধ নিয়ে বসে থাকা যাবে না। কারণ নিশ্চিত করে চিকিৎসা নিলেই পরিত্রাণ পাওয়া যায়। মুখের গন্ধ কিন্তু শারীরিক নানা জটিলতা থেকেও হতে পারে।
শারীরিক অসুস্থতা : যে কোনো ক্রোনিক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, লিভারে রোগ, এমনকি ক্যান্সারের রোগীদের নিয়মিত ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা জরুরি; কারণ প্রায় সব ধরনের রোগের সঙ্গে মুখের সম্পর্ক রয়েছে। গর্ভধারণের আগে বা গর্ভাবস্থায়ও ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ ছাড়া মুখ ফুলে যাওয়া, মুখ খুলতে অসুবিধা, চিবাতে কষ্ট, দাঁত নড়ে যাওয়া বা দুর্ঘটনায় মুখে আঘাত পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
লেখক : রাজ ডেন্টাল সেন্টার, কলাবাগান, ঢাকা