শিরোনাম
ব্যায়ামের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ঝরঝরে রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। এটি বহু রোগের ঝুঁকি থেকেও আমাদের মুক্তি দেয়। এমনকি ক্যান্সারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ রোগের ঝুঁকি থেকেও আমাদের পরিত্রাণ দেয় ব্যায়াম।
এক যুগ আগে আমেরিকার কলেজ অব স্পোর্টস মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল ক্যান্সারের ওপর ব্যায়ামের ভূমিকার পক্ষে তথ্যপ্রমাণ বিবেচনা করে। তখন তথ্যপ্রমাণ ছিল অল্প। এখন অনেক প্রমাণ হাজির। তাই আমেরিকান কলেজ অব স্পোর্টস মেডিসিন ৪০ জন বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল নির্বাচন করেন ক্যান্সার ও ব্যায়ামের সম্পর্ক অন্বেষণে। এদের পরামর্শ পরে প্রকাশিত হলো ক্যান্সার জার্নাল অব ক্লিনিশিয়ান জার্নালে।
বারডেম হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী ব্যায়াম যেভাবে ক্যান্সার ঝুঁকি কমায় সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যায়ামের অবদান সুবিদিত। এটি মজবুত করে হাত ও পেশিকে, উজ্জীবিত করে বিপাক, তুঙ্গ করে মেজাজ, স্মৃতিশক্তি করে উন্নত। শরীরকে সক্রিয় রাখলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমানো যাবে। বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরচর্চা সাত ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত— মলান্ত্র, স্তন, কিডনি, জরায়ু, মূত্রথলি, পাকস্থলী ও গলনালির ক্যান্সার।
* ব্যায়াম ও কিছু ক্যান্সারের এমনকি ফুসফুস ও যকৃতের ক্যান্সারের ঝুঁকির সম্পর্কের পক্ষে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।
* ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে কী পরিমাণ ব্যায়াম প্রয়োজন তা এখনও অস্পষ্ট। তবে সব বয়সেরও কর্মক্ষমতা সম্পন্ন সব মানুষের জন্য শরীরকে সক্রিয় রাখা গুরুত্বপূর্ণ বটে।
* ক্যান্সার সারভাইভার প্রত্যেক নিষ্ক্রিয় জীবন পরিহার করা উচিত।
* ক্যান্সার নির্ণয়ের আগে ও পরে শরীরচর্চা ক্যান্সারের পরিণতি উন্নত করে।
* ক্যান্সার সারভাইভার মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করবেন, অ্যারোবিক ব্যায়াম ও রেজিস্ট্যান্স ব্যায়াম করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দু-তিন দিন।
সূত্রঃ যুগান্তর