শিরোনাম
মানসিক উদ্বেগ আমাদের শরীর ও মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপ থাকলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠে, কোনো কিছুই ভালো লাগে না।কিছু খাবার খেলে ও পানীয় পান করলে তা আমাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে আরও বেশি।
পুষ্টিবিজ্ঞানী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, পেশাদার শেফ, বোস্টনভিত্তিক পুষ্টি বিশেষজ্ঞ, ম্যাসাচুসেটস এবং লেখক ডা. উমা নাইডু বলেন, কিছু খাবার খাওয়ার পর প্রায়ই শরীরে আতঙ্কের অনুভূত হয়। কিন্তু অনেকেই এটি বুঝতে পারেন না যে, এগুলো সেই খাবারের প্রভাবের কারণেই হয়।
শিকাগোর রেজিস্ট্রার্ড ডায়েটিশিয়ান ম্যাগি মিকালজিক এ বিষয়ে বলেন, কিছু খাবার ও পানীয় আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার স্পাইক উৎপন্ন করে উদ্বেগ বা এই ধরনের অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।
এ ধরনের খাবার ও পানীয়গুলো শরীরে প্রদাহ বাড়িয়ে উদ্বেগকে বাড়িয়ে তোলে এবং এসবে ফাইবার কম থাকার কারণে তা স্বাভাবিক অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে ব্যাহত করে।
যেসব খাবার ও পানীয়তে উদ্বেগ বাড়ে, আসুন জেনে নিই সেই সম্পর্কে—
১. কেক, কুকিজ, ক্যান্ডি
মিকালজিক বলেছেন, কেক, কুকিজ ও ক্যান্ডিজাতীয় খাবারগুলো আপনার রক্তে শর্করার মধ্যে স্পাইক তৈরি করে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এসব অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন। আর আপনার মিষ্টি খাবারের চাহিদা মেটাতে তাজা ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
২. চিনিযুক্ত জুস
আমরা বিভিন্ন ধরনের পানীয়তে আলাদাভাবে চিনি যোগ করে থাকি। এটি আমাদের শরীরের ওপরে অনেক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই যে কোনো ধরনের জুসে চিনি না দিয়ে খেতে হবে।
৩. প্রক্রিয়াজাত মাংস ও চিজ
বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত মাংস ও চিজ আমাদের প্রদাহকে বাড়িয়ে দিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া এসব খাবারে ফাইবারও অনেক কম পরিমাণে থাকে। তাই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত মাংস ও চিজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪. কফি, চা ও এনার্জি ড্রিংকস
কফি, চা ও এনার্জি ড্রিংকসে ক্যাফেইন থাকার কারণে এগুলো আমাদের শরীরে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যত বেশি পরিমাণে ক্যাফেইন গ্রহণ করা হবে, তত বেশি উদ্বেগের সৃষ্টি হতে পারে। আর গবেষণায় দেখা গেছে— যারা দিনে ৫ কাপের বেশি কফি খায়, তাদের মধ্যে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
৫. কৃত্রিম মিষ্টি
বিভিন্ন খাবারে ও পানীয়তে কৃত্রিম মিষ্টি যোগ করে তা স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। এটি কিছু মানুষের জন্য ঠিক মনে হলেও তা অনেকের ক্ষেত্রেই উদ্বেগসহ নিউরোসাইকিয়াট্রিক সমস্যাগুলোর সৃষ্টি করে বলে বলেছেন নাইডু।
৬. প্রক্রিয়াজাত তেল
বিভিন্ন ফাস্টফুডকে অনেক ক্ষতিকারক বলে মনে করা হয়। আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে— এসব খাবারে প্রক্রিয়াজাত তেল ব্যবহার করা হয়। নাইডু বলেন, প্রক্রিয়াজাত তেল ব্যবহারের করলে সেই খাবারগুলো উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়। আর এর মধ্যে ভুট্টার তেল ও সয়াবিন তেল সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক। তাই এ ধরনের তেল পরিহার করা উচিত।
সূত্র: ইউএস নিউজ ডটকম