শিরোনাম
প্রথম হৃদ্রোগ (হার্ট অ্যাটাক) বা স্ট্রোক প্রতিরোধে অ্যাসপিরিনের ব্যবহার কমিয়ে আনা উচিত বলে মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল। গতকাল মঙ্গলবার দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ইউএস প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস টাস্কফোর্সের (ইউএসপিএসটিএফ) প্যানেল গতকাল এ সুপারিশ করে। ১৬ জন স্বাধীন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে এ প্যানেল গঠিত।
প্যানেলের খসড়া সুপারিশে বলা হয়, কার্ডিওভাসকুলার বা হৃদ্রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা যদি নিয়মিত স্বল্পমাত্রার অ্যাসপিরিন গ্রহণ করেন, তবে তাঁরা মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই চিকিৎসকদের উচিত হৃদ্রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বেশির ভাগ ব্যক্তিকে নিয়মিত গ্রহণের জন্য স্বল্পমাত্রার অ্যাসপিরিন আর না দেওয়া।
সুবিধার চেয়ে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি—এমন তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এ সুপারিশ প্রস্তাব করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ প্যানেল।
হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে অনেকে রক্ত পাতলা করার ওষুধ অ্যাসপিরিন সেবন করেন। একসময় হৃদ্রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যাসপিরিনকে একটি উল্লেখযোগ্য ও সুলভ উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু মার্কিন বিশেষজ্ঞ প্যানেলের নতুন খসড়া সুপারিশ হৃদ্রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা লাখো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির নিয়মিত অ্যাসপিরিন গ্রহণের বিষয়টিকে প্রভাবিত করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ নিয়মিত অ্যাসপিরিন শুরুর পর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে দ্রুত ঘটে। যাঁরা ইতিমধ্যে স্বল্পমাত্রার অ্যাসপিরিন নিচ্ছেন, তাঁদের এখন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত বলে মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ প্যানেল।
তবে যাঁরা ইতিমধ্যে অ্যাসপিরিন গ্রহণ করছেন বা যাঁরা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত এ নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে না।
ইউএসপিএসটিএফের সদস্য চিয়েন-ওয়েন সেং বলেন, ‘চিকিৎসকের সঙ্গে কথা না বলে আমরা কাউকে আর অ্যাসপিরিন গ্রহণ বন্ধের পরামর্শ দিচ্ছি না। আর কেউ যদি ইতিমধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত বা স্ট্রোক করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে তো অবশ্যই নয়।’
চিয়েন-ওয়েন সেং আরও বলেন, যাঁরা হৃদ্রোগের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অ্যাসপিরিন গ্রহণের বিষয়ে আগের নির্দেশনা আর থাকছে না।
মার্কিন বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সুপারিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী যেসব মানুষ হৃদ্রোগের ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের প্রথম হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়া প্রতিরোধে দৈনিক স্বল্পমাত্রার অ্যাসপিরিন গ্রহণ শুরু করা উচিত নয়। কারণ, এতে সুবিধার চেয়ে অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের ঝুঁকি বেশি হতে পারে।