শিরোনাম
লিভার বা যকৃত শরীরের ৫০০টিরও বেশি কাজের সঙ্গে জড়িত। লিভারের সঙ্গে জড়িত যে কোনো জটিলতা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমার কারণে ফ্যাটি লিভার হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে, ফ্যাটি লিভারের কোনো উপসর্গ টের না পেলেও পরবর্তী সময়ে তা মারাত্মক হতে পারে। অত্যধিক চর্বি জমার কারণে লিভারে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।
ফ্যাটি লিভারের সঠিক চিকিৎসা করা না হলে লিভার ফুলে বিশাল আকার ধারণ করে। এর ফলে সিরোসিস হতে পারে, যা ফ্যাটি লিভারের সবচেয়ে উন্নত পর্যায়। আবার সিরোসিস গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেলে তা জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে।
লিভারে চর্বি জমে তা বড় হতে শুরু করলে শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়, তার মধ্যে কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে হাতে। আসলে শরীরের প্রায় সব রক্ত লিভারের মাধ্যমে ফিল্টার করা হয়।
মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুসারে, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়লে সতর্কতা লক্ষণ হিসেবে হাতে দেখা দেয় তিন লক্ষণ-
১. প্রসারিত রক্তনালিগুলোর কারণে হাতের তালুতে লালভাব।
২. যেহেতু লিভার কাজ করার জন্য আরও সংগ্রাম করে, তাই নখ সাদা হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে বুড়ো ও তর্জনী আঙুলের নখ বেশি সাদা দেখায়।
৩. এছাড়া আঙুলের ডগা ছড়িয়ে পড়ে ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গোলাকার দেখায়। এটি ঘটে তখনই, যখন অক্সিজেন পরিবহনকারী রক্তনালিগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে না।
লিভার সিরোসিসের অন্যান্য লক্ষণ
হাতে সতর্কীকরণ চিহ্ন ছাড়াও, লিভার সিরোসিসের আরও কয়েকটি লক্ষণ আছে। যেমন-
১. ক্লান্তি
২. সহজেই রক্তপাত বা ক্ষত
৩. ক্ষুধামান্দ্য
৪. বমি বমি ভাব
৫. পা বা গোড়ালিতে ফোলাভাব
৬. ওজন কমে যাওয়া
৭. ত্বকে শুষ্কতা ও চুলকানি
৮. জন্ডিস
৯. পেট বড় হয়ে যায় তরল জমে
১০. ত্বকে মাকড়সার মতো রক্তনালি দেখা দেওয়া ইত্যাদি।
ফ্যাটি লিভারের কারণ
ফ্যাটি লিভার রোগের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি, এই অবস্থার বিকাশের ঝুঁকি বাড়ায় এমন কারণগুলোও নোট করতে হবে।
এর মধ্যে আছে স্থূল বা অতিরিক্ত ওজন, টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকা, ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা, কম থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, মেটাবলিক সিনড্রোম (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও স্থূলতার সংমিশ্রণ), ৫০ বছরেরও বেশি বয়স, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি। সুস্থ থাকতে এসব অভ্যাস এখনই ত্যাগ করুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া