শিরোনাম
অবশেষে চালু হলো বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার ‘গঙ্গা বিলাস’। ভারত-বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে চলাচলকারী বিলাসবহুল জাহাজটির শুভ উদ্বোধন করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে বিহার-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশে হয়ে আসাম পর্যন্ত যাবে এই নৌবিহার। এর মাধ্যমে ভারতের ভারতের পর্যটনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
কোন পথে যাবে ‘গঙ্গা বিলাস’? সম্প্রতি উদ্বোধনের পর বারাণসীর রবিদাস ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করবে জাহাজটি। ভারতের পাঁচটি রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের বাগেরহাট, বরিশাল, ঢাকা, টাঙ্গাইসহ বেশ কয়েকটি জেলা অতিক্রম করবে এটি। ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট ২৭টি নদী পাড়ি দেবে গঙ্গা বিলাস। মোট ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে এর সময় লাগবে ৫১ দিন। এর মধ্যে বাংলাদেশেই কাটবে ১৫ দিন।
গঙ্গা বিলাস নৌবিহার উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে বুক্সার, রামনগর ও গাজিপুর হয়ে অষ্টম দিনে পাটনা পৌঁছাবে। সেখান থেকে নৌযানটি কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে এবং ফারাক্কা-মুর্শিদাবাদ হয়ে ২০তম দিনে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীতে পৌঁছাবে। পরের দিন সেটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। পরবর্তী ১৫ দিন প্রমোদতরীটি বাংলাদেশের জলসীমায় থাকবে। এরপর গুয়াহাটি দিয়ে সেটি আবারও ভারতে ঢুকবে এবং শিবসাগর হয়ে ডিব্রুগড়ে শেষ গন্তব্যে পৌঁছাবে।
পর্যটকরা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি দেখে নিতে পারবেন দু’ধারে থাকা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থানও।
বিশ্ব ঐহিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ, সোনারগাঁও ছাড়াও ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় পার্কসহ ৫০টির বেশি ঐতিহ্যবাহী স্থান দেখার সুযোগ পাবেন তারা।
বিলাসবহুল গঙ্গা বিলাসে পাঁচ তারকা হোটেলের মতো বিভিন্ন সেবা মিলবে। মোট ৮০ জন যাত্রী থাকতে পারবেন এতে। রয়েছে ১৮টি লাক্সারি স্যুট। এসব স্যুটে শাওয়ারসহ বাথরুম, রূপান্তরযোগ্য বিছানা, ফ্রেঞ্চ ব্যালকনি, এলইডি টিভি, স্মোক ডিটেক্টর, লাইভ ভেস্ট, স্প্রিঙ্কলারসহ নানা সুবিধা পাবেন পর্যটকরা।