শিরোনাম
বছর ঘুরেই এসে গেছে সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে চলছে এ মহোৎসবের আয়োজন। পুজোকে ঘিরে রয়েছে একেক রকম পরিকল্পনা। বিভিন্ন রকমের রান্নাবান্না, কেনাকাটাসহ চলছে নানা রকমের আয়োজন। অনেকেই আবার ষষ্ঠী থেকে দশমী কীভাবে সাজবেন, তা নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আর এই ব্যস্ত সময়ের মধ্যে নিজেকে সাজাতে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সুতি শাড়ি অথবা সালোয়ার কামিজ পরিধান করে শুরু করতে পারেন ষষ্ঠী। চেষ্টা করুন মেকআপ কম রাখার। চোখে কাজল, কমপ্যাক্ট পাউডার, হালকা লিপস্টিকেই সাজিয়ে নিতে পারেন নিজেকে। চুলের সাজের জন্য পনিটেইল অথবা খেজুর বেণি করে সাজকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারেন।
অঞ্জলি দিতে যাওয়ার সময় সাজে নিয়ে আসুন স্নিগ্ধতা। সপ্তমীর দিন পরিধান করুন সুতি আরামদায়ক পোশাক। চুলে একটা খোঁপা করে নিন। হালকা সাজে আপনাকে লাগবে সুন্দর এবং সজীব। যেহেতু রাতের অনুষ্ঠান তাই সাজের বেলায় চোখে ল্যাশ এবং আইশ্যাডো লাগিয়ে নিতে পারেন।
অষ্টমীর সাজে একটু ভিন্নতা আনতে বেঁছে নিতে পারেন বেনারসি, সিল্ক অথবা কাতানের শাড়ি। অষ্টমীতে দিনের বেলা হালকা সাজুন। তবে রাতে একটু ভারি সাজ দেওয়ায় ভালো। ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার, কন্টরিং করুন। সঙ্গে একটু ব্লাশন লাগালে সাজটা আরও ফুটে উঠবে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চোখের সাজ এবং পছন্দমতো ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে সাজ সম্পন্ন করুন। চুলের সাজের ক্ষেত্রে ফুল দিয়ে খোঁপা করে নিতে পারেন, অথবা চুল ছাড়া রাখলেও শাড়ির সঙ্গে বেশ ভালো মানাবে।
জমকালো সাজে নিজেকে সাজিয়ে নিন নবমীর দিন। এদিনের জন্য জামদানি, কাতান বা সিল্কের শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজ বেছে নিতে পারেন। সেই সঙ্গে মেকআপটাও হওয়া চাই জমকালো।
পূজার প্রাণ বলা হয় বিজয়া দশমীকে। দশমীতে সবাই মেতে ওঠে সিঁদুর খেলায়। এইদিন নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পারেন সাদা শাড়ি আর লাল পাড়ে। চোখজোড়াকে সাজিয়ে তুলুন উজ্জ্বল রঙে। চুলের খোঁপায় দিয়ে দিন ফুলের গুচ্ছ। গালে ব্লাশন আর ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক একদম পরিপূর্ণ করে তুলবে আপনার দশমীর সাজ।