শিরোনাম
সুই-সুতো ব্যবহার করে পুরো কোরআন শরিফ লিখে তাক লাগিয়েছেন মুহাম্মদ মাহির হাজিরি নামক সিরিয়ার এক হস্তশিল্পী। কোরআনে কারিমের এই কপিকে বলা হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ‘এমব্রয়ডারি কোরআন।’ মাহির হাজিরি নামের ওই সিরীয় কোরআন নকশার কাজ শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। দীর্ঘ দুই যুগ তিনি এ কাজে ব্যয় করেছেন।
মুহাম্মদ মাহির বলেন, ‘১৬ বছরে আমি কোরআনে কারিম লিখে শেষ করেছি। বাকি ৪ বছর ব্যয় করেছি সম্পাদনা ও সংকলনে।’ কোরআন মাজিদের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে তিনি বলেন, কোরআনের পুরো প্রতিলিপি তৈরির পর সিরিয়ার একাধিক আলেমকে তা দেখিয়েছেন।
নিজের বিষয়ে বলেন, ছোটবেলায় হাতের লেখা এতটাই খারাপ ছিল যে, কী লিখেছেন তা তিনি নিজেই বুঝতেন না। পরে আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া করেছি। ফলে এখন আমার লেখা চমৎকার হয়েছে। ১২ খণ্ডে প্রস্তুত এ প্রতিলিপিটি দৈর্ঘ্যে ৮০ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ৬০ সেন্টিমিটার। ১২ খণ্ড মিলে এর ওজন দাঁড়িয়েছে ২০০ কিলোগ্রাম। পৃষ্ঠা ৪২৬টি। সিরিয়া, ইরান, লেবানন, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও মিসরসহ তুরস্কের বেশ কটি প্রদর্শনীতে পবিত্র কোরআনের এই প্রতিলিপিটি উপস্থাপন করেছেন তিনি।
সিরিয়ার নাগরিক হলেও মুহাম্মদ মাহির এখন থাকেন তুরস্কের বুরসা প্রদেশে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে ২০১৪ সালে মুহাম্মদ মাহির চলে যান তুরস্কে। তবে প্রতিভা থেমে থাকেনি তার। সুই-সুতোয় তুলে ধরেছেন হাদিস শরিফের নানা অংশও।
আরও অনেক আগ্রহীকে এই হস্তশিল্প বা ক্যালিগ্রাফি শিখিয়ে যেতে চান মাহির।