শিরোনাম
এটা আসলে কোন রসিকতা নয়- আপনার বসের প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ থাকলে তা আজ থেকে কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। নাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি আছে।
১০ বছর ধরে চালানো সুইডিশ একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কর্মক্ষেত্রের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক কর্মীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।
বসের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রক্ষা করার উপায়
বসকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করুন। তার পছন্দ-অপছন্দ বুঝে আচরণের মাপকাঠি ঠিক করে নিন। কঠিন বস কি সব সময়ই কঠিন, নাকি মাঝেমাঝে। পরিবেশ সাপেক্ষে তিনিও সহজ হন। যদি হন, তাহলে কোন সে পরিবেশ, কী সেই পরিস্থিতি ইত্যাদি প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। নিজে এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে বসের রোষানলে পড়েন। বসের সঙ্গে আপনার দূরত্ব আরও বেড়ে যাবে।
তোষামোদি করে বসের মন জয় করতে যাবেন না। বসের প্রকারভেদ আছে। বুঝতে হবে, যে বস কাজ পাগল তাকে আপনি কাজ দিয়েই জয় করুন। তাই কোন পথ বেছে নেবেন সেটা পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবেন। বসকে বসের মতো থাকতে দিন। নিজেকে বসের পছন্দের মতো ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
বুদ্ধিদীপ্ত প্রশংসা কিন্তু প্রায় সবাই-ই পছন্দ করে। যথাযথ প্রশংসাও বসের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ভালো করতে সাহায্য করবে।
বসের জন্মদিনে কেক কাটা, লাঞ্চ বক্সের খাবার অফার করা, গিফট দেওয়া এগুলো পুরনো প্রথা । বরং বসের পেন্ডিং কাজে নিজে থেকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাওয়া, কোনো জটিল কাজে ভালো সমাধানের আইডিয়া দেওয়া- সম্পর্ককে ভালো করবে।
সময় সুযোগ বুঝে আপনার দক্ষতার অন্য দিকগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বসের সামনে তুলে ধরুন। কোনোভাবেই ধৈর্য হারাবেন না।