শিরোনাম
দুই বছর ধরে কভিডের সঙ্গে বসবাস করছে বিশ্ব। এর মাঝেই কোথাও কোথাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স।
বিরল এ ভাইরাসের আক্রমণে দশ দিনে ব্রিটেনে সাত জন আক্রান্ত হওয়ার পর সতর্কতা জারি করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কি পক্স বিশেষ ধরনের বসন্ত। মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এই ভাইরাসের হদিশ মেলে।
জলবসন্ত বা গুটিবসন্ত তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি পরিচিত। তাই প্রতিকারও অপেক্ষাকৃত সহজ। কিন্তু মাঙ্কি পক্স এতই বিরল যে, এখনও পর্যন্ত আক্রান্তদের সুস্থ করতে নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি জানা নেই চিকিৎসকদের।
গত ৭ মে প্রথম মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মেলে লন্ডনে। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন। তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, আফ্রিকাতেই কোনোভাবে ওই ব্যক্তি এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেন। কিন্তু তারপর কীভাবে আরও ছয়জন রোগে সংক্রমিত হলেন, তা নিয়ে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই গোটা ব্রিটেন জুড়ে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া একটি বার্তায় বলা হয়েছে, রোগীর দেহে অপরিচিত যে কোনো ধরনের ক্ষত দেখলেই সতর্ক হতে হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, নতুন আক্রান্ত রোগীদের চার জন সমকামী পুরুষ। তাই সমকামী পুরুষদের আপাতত অতিরিক্ত সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছে প্রশাসন।
বলা হচ্ছে, একাধিক বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। তবে সবচেয়ে বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। শ্বাসনালি, ক্ষত স্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক-পরিচ্ছেদ থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই ভাইরাসে আক্রান্তদের শরীরে যে সব লক্ষণ দেখা যায়—
প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পিঠ ও গায়ে ব্যথার মতো লক্ষণ। দেখা দিতে পারে কাঁপুনি ও ক্লান্তিও।
শরীরের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। সঙ্গে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে মুখে। ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে সেই ক্ষত।
হাম, বসন্ত, স্কার্ভি ও সিফিলিসের কিছু কিছু লক্ষণের সঙ্গে এই রোগের উপসর্গগুলো কিছুটা মিল পাওয়া যায়। তাই অনেকেই এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গগুলো চিনতে ভুল করেন।
সূত্র: দেশ রূপান্তর