শিরোনাম
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক পর্যটক নারীকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার ৩ আসামিকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক হামিমুন তাসনিম তাদের দুদিন করে রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেন। সূত্র: যুগান্তর
ওই তিনজন হলেন- রেজাউল করিম, মামুনুর রশিদ ও মেহিদী হাসান।
রোববার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাদেরকে গ্রেফতারের কথা জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, পর্যটক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার এজাহারে যে তিনজন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে সকালে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছিলেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান।
পরে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনজনকে গ্রেফতার করার তথ্য জানায় টুরিস্ট পুলিশ।
গত বুধবার বিকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে স্বামী সন্তান নিয়ে ওই নারী পর্যটক বেড়াতে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।
এরপর তাকে নেওয়া হয় কলাতলীতে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। পরে র্যাব এসে তাকে উদ্ধার করে।
চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণের ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিকটিমের স্বামী।