শিরোনাম
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর চুল কেটে নির্যাতনের অভিযাগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। সূত্র: আরটিভি
নির্যাতিতা গুলনাহার পারভীন মিনু শাহজাদপুর উপজেলার খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের মেহেদি হাসান সুজনের স্ত্রী ও তাড়াশ উপজেলা সদরের মৃত গোলাম মোস্তফার মেয়ে।
নির্যাতিতা গৃহবধূ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নির্যাতিতার মা আনোয়ারা বেগম জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে শাহজাদপুর উপজেলার খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মেহেদি হাসান সুজনের সঙ্গে মিনুর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তবে গার্মেন্টসে চাকরির সূত্রে স্বামীর সঙ্গে তিনি গাজীপুরে থাকতেন। তাদের দুটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে স্বামী মিনুকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে।
নির্যাতিতার মা আরও জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর স্বামী তার গ্রামের বাড়ি শাহজাদপুরের খাস সাতবাড়িয়া গ্রামে এনে স্ত্রীর চুল, ভ্রু কেটে মারপিট করে। ঘটনাটি ১৮ ডিসেম্বর জানাজানি হলে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে মিনুকে শাহজাদপুর থেকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা।
নির্যাতিতা গৃহবধূর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল।